নির্বাচন সামনে রেখে আসনভিত্তিক প্রার্থী ঘোষণার অপেক্ষায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। চলছে অঞ্চলভেদে সমন্বয় সভা ও প্রার্থিতা যাচাই-বাছাই। প্রশ্ন উঠেছে, নতুন এই রাজনৈতিক দলটির সমর্থকসংখ্যা কী রকম এবং কত আসনে প্রার্থী দেবে দলটি, আদৌ ৩০০ আসনে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামার জন্য কতটা প্রস্তুত? দলটির রাজনৈতিক সক্ষমতা ঘিরেও প্রশ্ন রয়েছে। এরই মধ্যে শনিবার (১৫ নভেম্বর) ঘোষণা হবে দলটির প্রাথমিক মনোনয়ন তালিকা।
কারা থাকতে পারেন প্রার্থী তালিকায়, এমন প্রশ্নে এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন জানান, তারুণের সমাহার ও দেশ বদলে দিতে পারে এমন প্রতিশ্রুতিবদ্ধরাই অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন মনোনয়ন তালিকায়।
আমরা তিনশ আসনের প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছি। প্রার্থী ঘোষণার মতো প্রার্থী আমাদের দলে কিংবা আমাদের দলের বাইরের, যারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করছে তাদের সবাইকে নিয়েই কিন্তু সেই শঙ্কা অতিক্রম করার একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেই প্রার্থী তালিকা প্রকাশের মধ্য দিয়ে একটা নতুন চমক মানুষের কাছে উপস্থাপিত হবে। তারণ্যের যেমন সেখানে সমাহার থাকবে, তেমনি দেশ বদলে দিতে পারে, নতুন করে দেশটা গড়তে পারে, এমন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ মানুষদেরকেই আমরা নমিনেশনে অন্তর্ভুক্ত করব।
অন্য দল থেকে মনোনয়নবঞ্চিতদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠছে কি জাতীয় নাগরিক পার্টি- এমন প্রশ্নে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছরে তাদের যে রাজনৈতিক ত্যাগ-তিতিক্ষা, হাঁটুর মধ্যে গুলি খেয়েছে, পা কেটে ফেলেছে। তাদেরকে মুল্যায়ন করতে হবে, তাদের বিএনপি মূল্যায়ন করেনি। জামায়াতও অনেকে ক্ষেত্রে মূল্যায়ন থেকে পিছিয়ে আছে। এই মানুষগুলোকে উঠিয়ে নিয়ে আসা আমাদের দায়িত্ব। সেই দায়িত্বটা আমরা আদায় করছি।
যদিও দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার দাবি, মনোনয়ন ঘিরে অন্যদল ভাঙার দায় নেবে না এনসিপি।
তিনি বলেন, দুই যুগ আগে কোনো একটা রাজনৈতিক দল করেছেন। কিন্তু তাদের সাথে মেলে না বলে কেউ বসে পড়েছিলেন বা ইন্যাকটিভ হয়েছিল, তাদের জন্য আমাদের দরজা খোল আছে। কিন্তু কেউ মনোনয়ন পায়নি বলে আরেকটি দল থেকে টিকিট নেবে, এ ধরনের লোকজনকে আমরা প্রশ্রয় দেব না।
উল্লেখ্য, আগামীকাল শনিবার (১৫ নভেম্বর) ঘোষণা হবে দলটির প্রাথমিক মনোনয়ন তালিকা।
কেএন/এসএন