শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (শাকসু) নির্বাচন আগামী ৯ অথবা ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন উপাচার্য এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবিতে গতকাল রাতে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচির পর উপাচার্য এ ঘোষণা দেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টা থেকে রাত সোয়া ১টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। পরে উপাচার্য উপস্থিত হয়ে আশ্বস্ত করলে তারা কর্মসূচি স্থগিত করেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেছেন, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার জন্য সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলেন।
সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগে অনিবার্য কারণ দেখিয়ে তা স্থগিত করা হয়। এতে শাকসু নির্বাচন বানচালের অভিযোগ তুলে প্রশাসনিক ভবনে তালা দেন তারা। পরে রাত সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
কর্মসূচিতে ইসলামী ছাত্রশিবির, ছাত্র আন্দোলন, ছাত্র মজলিশ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরাও অংশ নেন।
তারা বলেন, রাত প্রায় ১টা পর্যন্ত অবস্থান করেন তারা। এর মধ্যে রাত ১১টার দিকে অবস্থান কর্মসূচিতে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ইসমাইল হোসেন ও প্রক্টর মোখলেছুর রহমান আশ্বাস দিলেও তা প্রত্যাখ্যান করেন শিক্ষার্থীরা। পরে রাত পৌনে ১টায় উপাচার্য এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী ও সহ-উপচার্য সাজেদুল করিম আসেন। তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সিদ্ধান্ত জানান।
এ সময় শাবি উপাচার্য বলেন, ‘আজ শুক্রবার সন্ধ্যার পর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে।’ এ আশ্বাস দিয়ে উপাচার্য এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আগামী ৯ অথবা ১০ ডিসেম্বর শাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা উৎসবমুখর পরিবেশে এই নির্বাচন করব।’
এ আশ্বাস পেয়ে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন। প্রশাসনিক ভবনের তালাও খুলে দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলন ডেকে স্থগিত করা হয় কেন? এর জবাবে উপাচার্য বলেন, ‘দায়িত্বশীল একজন ব্যক্তির মিটিং ও আরেকজন চিকিৎসাকেন্দ্রে থাকায় আমরা ভেবেছি শুক্রবার করব। এটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এখানে একটি আলোচনা এসেছে ৯ ডিসেম্বর বা ১০ ডিসেম্বর। যেকোনো একটি তারিখে নির্বাচন হবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শাবিপ্রবির আহ্বায়ক পলাশ বখতিয়ার বলেন, ‘নির্বাচন দেবে বলে বলে তারিখ ঘোষণা করছে না প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার তারিখ ঘোষণার কথা ছিল। সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। আমরা বলছি এই কালক্ষেপণ শাকসু বানচালের ষড়যন্ত্র। আমরা ৮ তারিখের আগেই নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছিলাম। উপাচার্যের আশ্বাসে আমরা আপাতত প্রত্যাহার করছি; কিন্তু এরপরও যদি কালক্ষেপণ হয়, তাহলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।’
এমআর/টিকে