বলিউডের খিলাড়ি অক্ষয় কুমার আবারও নিজের সহজ-সরল জীবনদর্শন দিয়ে আলোচনায়। পর্দায় তার অ্যাকশন যত তীব্র, ব্যক্তিজীবনে ততটাই শান্ত, সংযত আর আত্মনিয়ন্ত্রিত তিনি। সম্প্রতি এক আলাপচারিতায় অক্ষয় এমন এক সত্য তুলে ধরেছেন, যা শুনে বহু দর্শক থমকে গেছেন।
তার কথা, জীবনের অনেক পরিস্থিতিতে কথা বলার চেয়ে নীরব থাকা বেশি প্রয়োজন। কারণ মানুষের বলা কথাই নাকি বহু সময় শরীরের হাজার ক্ষতের চেয়েও বেশি ব্যথা দেয়। কষ্টের সেই দাগ থেকে যায় দীর্ঘদিন, কখনও কখনও সারা জীবন। অক্ষয়ের মতে, রাগ বা ক্ষোভের মুহূর্তে যে শব্দ মুখ থেকে বের হয়, তা সম্পর্ক ভেঙে দিতে পারে, মানুষকে আহত করতে পারে, আর নিজের মধ্যেও অনুশোচনা জাগিয়ে তোলে।
তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, নীরবতা কোনো দুর্বলতা নয়। বরং অনেক সময় এটি পরিণত হওয়ার চিহ্ন। অপ্রয়োজনীয় তর্ক, তিক্ততা আর মানসিক আঘাত থেকে মানুষকে দূরে রাখে এই চুপ থাকা। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে নয়, তবে ঠিক সেইসব মুহূর্তেই নীরবতা জরুরি, যখন শব্দ যুদ্ধের রূপ নিতে পারে।
অক্ষয়ের এই দর্শন ভক্তদের মনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকে বলছেন, তার কথার গভীরতা আজকের ব্যস্ত জীবনে আরও বেশি প্রাসঙ্গিক। মানুষের সঙ্গে আচরণে একটু নরম হওয়া, একটু ধৈর্য ধরা আর কিছুটা নীরবতার মূল্য বোঝা—এসবই বোধহয় অক্ষয়ের মতোই আমাদেরও দরকার।
এসএন