জুলাই-আগস্ট গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির ফাঁসির দাবি নিয়ে ট্রাইবুনালের সামনে জড়ো হয়েছেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকালে ট্রাইবুনালের গেটে অবস্থান নেন তারা। পরে ভেতরে প্রবেশ করেন। তাদের সঙ্গে যোগ দেন জুলাইয়ে আহত যোদ্ধারাও।
উত্তরা থেকে আসা জুলাই আন্দোলনে আহত আব্দুর রহমান বলেন, স্বৈরাচার হাসিনার যেন সর্বোচ্চ শাস্তি হয়। জুলাইয়ে আমার যেসব ভাইয়েরা শহিদ হয়েছেন তাদের পরিবারের দাবি নিয়ে আমরা এসেছি। শুধু ফাঁসির আদেশ দিলেই হবে না, শিগগিরই ভারত থেকে এনে রায় কার্যকর করতে হবে।
জুলাইয়ে শহীদ মিরাজের বাবা আব্দুর রব বলেন, আমার তরুণ ছেলেটা খুনি হাসিনার নির্দেশে নির্মমভাবে খুন হয়েছে। আমি তার সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি চাই। তাকে যেন দেশে ফেরত এনে এই রায় কার্যকর করা হয় এটাই আমার চাওয়া। মিরাজসহ সারাদেশে যাদের হত্যা করা হয়েছে সবার জন্য ন্যায় বিচায় চাই।
এদিকে সোমবার বেলা ১১টার পর ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এ রায় ঘোষণা করা হবে।
শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় বাড়ানো হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা। পুলিশ-র্যাব, এপিবিএন-বিজিবির পাশাপাশি নিয়োজিত রয়েছে সেনাবাহিনী। তৎপর রয়েছেন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও।
নিরাপত্তার স্বার্থে রোববার সন্ধ্যার পর থেকেই দোয়েল চত্বর হয়ে শিক্ষাভবনমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সীমিত করা হয়েছে জনসাধারণের চলাচলও।
আরপি/টিকে