বাংলাদেশ-ভারত দুই দলই এএফসি এশিয়ান কাপের মূল পর্বের লড়াই থেকে ছিটকে গেছে। বাছাইপর্বের ফিরতি লেগে এবার ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। নিয়মরক্ষার ম্যাচ হলেও ম্যাচটি তাই দুই দলের জন্যই মর্যাদার লড়াই।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের পঞ্চম রাউন্ডের ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়। হাইভোল্টেজ এই ম্যাচে ভারতকে হারিয়েই বছরটা ভালভাবে শেষ করতে চান বাংলাদেশের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া।
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ মানেই বাড়তি উত্তেজনা, আর সেটা যদি হয় ঘরের মাঠে তাহলে উত্তেজনার পারদ কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা সহজেই অনুমেয়। তাই এই ম্যাচকে ঘিড়ে উত্তেজনা রয়েছে পুরো বাংলাদেশ শিবিরে। ৬ মিনিটের মধ্যেই সব টিকিট বিক্রিই যার বড় প্রমাণ।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে জামাল বলেছেন, ‘অবশ্যই ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ সবসময়ই উত্তেজনাকর। সবাই ম্যাচটিকে নিয়ে দারুন উজ্জীবিত। বছরের শেষ ম্যাচ, তাও আবার ভারতের বিপক্ষে। স্বাভাবিকভাবেই আমরা মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে আছি।’
২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলা জামাল ভূঁইয়া ইতোমধ্যেই ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচকে ঘিড়ে বাড়তি আবেগ, অনুভূতির বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। দলের সকলের মধ্যেই এই একই অনুভূতি বিরাজ করছে। দীর্ঘদিন জাতীয় দল ভারতের বিপক্ষে কোনো জয় পায়নি।
এদিকে হামজা চৌধুরীর সাথে আরও বেশ কয়েকজন প্রবাসী ফুটবলার যোগ দেয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই বদলে যাওয়া বাংলাদেশ নিয়ে সমর্থকদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে দারুন উত্তেজনা। সমর্থকদের সেই চাহিদা মাথায় রেখে বছরের শেষ ম্যাচে ভারতকে হারানোর প্রত্যয় জামালের কণ্ঠে।
তিনি বলেন, ‘এটা অনেক ইমোশনাল ম্যাচ। এরপর দীর্ঘদিন জাতীয় দলের কোন ম্যাচ নেই। সে কারনেই ম্যাচটি সমর্থকদের জন্য, আপনাদের সবার জন্য জিততে চাই। অবশ্যই এজন্য আবেগকে সামাল দিয়ে খেলতে হবে। চাপতো থাকবেই, অধিনায়ক হিসেবে সেই চাপ সামলানোর দায়িত্ব আমাকে নিতে হবে। একাদশে খেলতে পারবো কিনা সেটা কোচ, দলীয় ব্যবস্থাপনার উপর নির্ভর করছে। কিন্তু সুযোগ পেলে নিজেকে মেলে ধরতে চাই।’
ভারত-বাংলাদেশ লড়াই মানেই খেলোয়াড়দের মধ্যে বাড়তি একটি চাপ। জামাল সেটা মেনে নিয়েই বলেছেন, ‘কালকের ম্যাচে অনেক ফ্রি-কিক হবে, হলুদ কার্ড হবে। তবে আমি এটিকে একটি স্বাভাবিক ম্যাচ হিসেবেই দেখবো। আমাদের মস্তিষ্ক ব্যবহার করে খেলতে হবে।’
জামালের চোখে এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী স্কোয়াড। তাই এবার ভারতকে হারানোর সুযোগও দেখছেন তিনি, ‘আমরা যে অবস্থায় আছি এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী স্কোয়াড। তার উপর একটি কথা বলতে চাই, ভারত এই মুহূর্তে সেরা অবস্থায় নেই। তাই অবশ্যই আমাদের একটা বড় সুযোগ আছে।’
ভারত যদি আক্রমনাত্মক ফুটবল খেলে তবে বাংলাদেশও সেভাবেই কৌশল সাজাবে। যদিও বাংলাদেশের রক্ষনভাগের দূর্বলতা স্বীকার করে জামাল বলেছেন, ‘ডিফেন্সে অবশ্যই আমাদের সমস্যা আছে। তবে ভারত যদি অনেক উপরে উঠে খেলে, তাহলে আমরা সামনে অনেক স্পেস পাবো। আক্রমণে যারা খেলবে ওরা অনেক গতিময় খেলোয়াড়। রাকিব সম্ভবত দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে দ্রুতগতির স্ট্রাইকার। তাকে যদি ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারি,তাহলে ভারতের রক্ষনভাগে যেই থাকুকনা কেন রাকিব তছনছ করে দিতে পারে।’
আইকে/টিএ