‘মিস ইউনিভার্স ২০২৫’-এ বাংলাদেশের প্রতিনিধি তানজিয়া জামান মিথিলা শুরু থেকেই আলোচনায়। ‘পিপলস চয়েস’ বিভাগে কখনো প্রথম, কখনো দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে তিনি প্রতিযোগিতায় শক্ত অবস্থান তৈরি করেছিলেন। বিশ্বব্যাপী ১২১ দেশের প্রতিযোগীর ভিড়ে বাংলাদেশকে সামনে তুলে ধরতে তার লড়াই নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয়েছিল তুমুল ক্যাম্পেইনও।
তবে মাঝখানে প্রতিযোগিতার বিচ বডি বা বিকিনি রাউন্ডে অংশ নেওয়ার পর দেশের নেটিজেনদের একাংশের সমালোচনার মুখে পড়েন মিথিলা।
একই সঙ্গে ভোটেও পিছিয়ে পড়তে থাকেন তিনি। নানান বিতর্ক ঠেলে তবু লড়াই চালিয়ে গেছেন বাংলাদেশের এই প্রতিনিধি।
‘মিস ইউনিভার্স’-এর মঞ্চে প্রতিযোগিদের ভোটযুদ্ধ শেষ হচ্ছে বুধবার (১৯ নভেম্বর), এদিন রাত পর্যন্ত চলবে ভোটিং। এরইমধ্যে আরো একটি শো’তে নিজের দেশকে তুলে ধরেছেন মিথিলা।
মিস ইউনিভার্স এর মঞ্চে ‘ন্যাশনাল কস্টিউম’–এ দেশকে তুলে ধরেন মিথিলা। সেজেছিলেন ‘দ্য কুইন অব বেঙ্গল’ রূপে!মিস ইউনিভার্সের মঞ্চে যার পরিধানে ছিলো ঐতিহ্যবাহী জামদানি শাড়ি। এই জামদানির গায়ে ফুটিয়ে তোলা হয় বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলার নকশা! পবিত্রতা, শান্তি এবং বাঙালির অদম্য চেতনার এই প্রতীকে বুনা কস্টিউমের একাধিক ছবি শেয়ার করেছেন মিথিলা।
জানিয়েছেন, বিশেষ এই শাড়িটি সম্পূর্ণ হাতে তৈরি, এবং এটি বুনতে লেগেছে ১২০ দিনেরও বেশি সময়! এই অসাধারণ শাড়ির ডিজাইনার আফরিনা সাদিয়া সায়েদা।
‘ন্যাশনাল কস্টিউম’ পরা নিয়ে বুধবার দুপুরে এক ফেসবুক লাইভে মিথিলা বলেন,“ন্যাশনাল কস্টিউম সবার কাছে কেমন লেগেছে? আশা করি সবার ভালো লেগেছে, মনের মতো হয়েছে। বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করতেই এই কস্টিউম বেছে নিয়েছি। আমার মনে হয়, ন্যাশনাল কস্টিউমে সর্বপ্রথম বাংলাদেশকে কেউ এভাবে তুলে ধরলো। আর আমি হ্যাপি, কারণ আমার পারফরম্যান্সও খুব ভালো হয়েছে। সবাই খুব প্রশংসা করেছে।”
“স্টেজ থেকে নামার পর আজকে আমার খুব কান্না আসছে। অনেক ইমোশনাল হয়ে গিয়েছিলাম। এটা এখন বলে বোঝানো যাবে না। স্টেজে যখন থাকবেন এবং নিজের দেশকে রিপ্রেজেন্ট করা কতো বড় সাহস আর শক্তির প্রয়োজন, সেটা তখনই অনুধাবন করা যায়।” বলেন মিথিলা।
ভোটযুদ্ধের শেষ দিনে সবার কাছে আহ্বান জানিয়ে মিথিলা বলেন,“পারফরম্যান্স তো কম করিনি, এখন শুধু আপনাদের সাপোর্ট লাগবে। বেশী বেশী করে সবাই আমাকে ভোট করেন। আজকেই শেষ সময়। অনেক কাছে চলে আসছি। প্লিজ সবাই বাংলাদেশকে ভোট করুন।”
আইকে/টিএ