গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের সভাপতি ও রাজাহার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ তারিক রিফাত (৫৫) গাইবান্ধা জেলা কারাগারে বন্দী অবস্থায় নিহত হয়েছে।
রোববার (২৩ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে পৌঁছানোর পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হঠাৎ মৃত্যু ঘিরে পুরো জেলায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নিহত তারিক রিফাত গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাজাহার ইউনিয়নের প্রভুরামপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের বিএসসির ছেলে।
তারিক রিফাত ২০১৭ সালে উপজেলা পর্যায়ে ‘শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক’ এবং ২০২৪ সালে ‘শ্রেষ্ঠ মৎস্য চাষী’ হিসেবে পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া তিনি ২০২১ সালে রাজাহার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
কারা সূত্র জানায়, রোববার বিকালে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে হাসপাতালে পাঠায় তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছিল। ইসিজি রিপোর্টেও দেখা যায় তিনি জীবিত ছিলেন না।
তবে তার মৃত্যুর কারণ নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, তাকে পরিকল্পিতভাবে একাধিক মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হচ্ছিল, যার ধারাবাহিকতায় এ ঘটনা ঘটেছে। পরিবারের দাবি, তিনি হার্টে রিং পরানো রোগী হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। অন্যদিকে কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, এটি ‘স্বাভাবিক মৃত্যু’। গাইবান্ধা জেলা কারাগারের জেলার আতিকুর রহমান জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে বিএনপি কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এজাহারনামীয় আসামি হিসেবে গত ১৭ অক্টোবর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বগুড়া ও রংপুরে এক মাসের বেশি সময় ধরে পুলিশের জিম্মায় চিকিৎসা দেওয়া হয়। রোববার দুপুরে আদালতে জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয় এর কয়েক ঘণ্টা পরই ঘটে তার মৃত্যু।