ভারতীয় চলচ্চিত্র অঙ্গনের মহীরুহ ছিলেন ধর্মেন্দ্র। পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে বলিউডকে উপহার দিয়েছেন অসংখ্য হিট সিনেমা। অভিনয়ে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছিলেন ‘পদ্মভূষণ’। আবার সাবেক বিজেপি সাংসদ হিসেবে রাজনৈতিক অঙ্গনেও ছিল তার আলো। সেই ধর্মেন্দ্রর বিদায়বেলায় এমন নীরবতা! শেষকৃত্যে রাষ্ট্রীয় মর্যাদাও কেনো দেওয়া হলো না-এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে তার মৃত্যুর পর থেকেই।
বলিউডের ‘হিম্যান’, হিন্দি সিনেমার প্রথম সারির মাচোম্যান ধর্মেন্দ্র ওরফে ধরম সিং দেওল পর্দায় যেমন দাপুটে, বাস্তবেও ছিলেন তেমনই শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব। ২০০৪ সালে লোকসভা নির্বাচন জিতে বিকানেরের সাংসদও হয়েছিলেন তিনি। সাড়ে ছয় দশকের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিন শতাধিক ছবিতে অভিনয় করে ভারতীয় চলচ্চিত্রকে সমৃদ্ধ করেছেন। ফিল্মোগ্রাফি বলে, হিটের সংখ্যায় তিনি এগিয়ে অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খানদের মতো সুপারস্টারদেরও। সেই মেগাস্টারের শেষযাত্রা এত নীরবে-এতেই বিস্মিত তার অনুরাগীরা।
মৃত্যুর পরদিনও আক্ষেপ থামছে না ভক্তদের- ‘একবার অন্তত জানালে শেষবারের মতো দেখা হতো!’ এমন মন্তব্যই ভেসে উঠছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, এত বড়মাপের তারকার বিদায় কি এমন নির্জনেই হওয়া উচিত?
বলিউড সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে সিদ্ধান্ত হয়েছিল পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গান স্যালুটের মধ্য দিয়ে ধর্মেন্দ্রকে বিদায় জানানোর। কিন্তু শেষমুহূর্তে আপত্তি তোলে দেওল পরিবার। জানা যায়, মৃত্যু নিয়ে সম্প্রতি ভুয়া খবর ছড়ানোয় পরিবার খুবই ক্ষুব্ধ ছিল। সেই অভিমানেই তারা চেয়েছে সবকিছু মিডিয়ার আড়ালে রাখতে। এজন্যই নাকি তারা রাষ্ট্রীয় মর্যাদার বিরোধিতা করে শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন। যদিও দেওল পরিবারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি, তবুও বলিউডের অলিন্দে এখন এই গুঞ্জনই জোরালো।
এসএন