যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের এক নারীর ‘অ্যাফ্রো’ চুল আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে-যার পরিধি ৬ ফুট ২.৮৭ ইঞ্চি। তার পূর্বসূরি নিজ হাতে তাকে মুকুট পরিয়ে দিয়েছেন।
২০১০ সালে খেতাব পাওয়া সবচেয়ে বড় ‘অ্যাফ্রো’র রেকর্ডধারী অ্যাভিন ডুগাস নতুন রেকর্ডধারী জেসিকা এল. মার্টিনেজকে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।
মূলত অ্যাফ্রো হলো অতি ঘন, ভীষণ কোঁকড়ানো বিশেষ এক ধরন বা স্টাইলের চুল।
এই চুল সাধারণত মাথার ওপর অনেকটা গোলাকার বলের মতো বেড়ে ওঠে। সাধারণত আফ্রিকার বংশোদ্ভূত মানুষের এমন চুল দেখতে পাওয়া যায়।
মার্টিনেজের চুলের উচ্চতা ১১.৪২ ইঞ্চি, প্রস্থ ১২.২ ইঞ্চি এবং পরিধি ৬ ফুট ২.৮৭ ইঞ্চি।
সদ্য খেতাব হারানো ডুগাস জানান, তিনি ১৫ বছর ধরে ধরে রাখা খেতাবটি হস্তান্তর করে গর্বিত।
ডুগাস বলেন, ‘আমি আশা করি, মানুষ আমাদের দেখে ভাববে-দিনের শেষে আমি নিজেকে ভালোবাসি, সে নিজেকে ভালোবাসে, আর আমরা দুজনই চাই মানুষ যেন নিজেদের ভালোবাসে। এটি কোনো প্রতিযোগিতা নয়, পুরো ব্যাপারটাই ভালোবাসা।’
মার্টিনেজ জানান, তিনি মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত নিয়মিতভাবে পেশাদারদের দিয়ে চুল স্ট্রেইট করাতেন, আর কলেজে এসে পুরোপুরি সেটি বন্ধ করে দেন।
তিনি বলেন, ‘কলেজের ফ্রেশম্যান বছরেই আমি শেষবার চুল সিল্ক-প্রেস করেছিলাম-মনে হয় সেটা ২০১৪ সাল।
চুল স্ট্রেইট করে আয়নায় তাকিয়ে দেখি, যেন ১২ বছরের জেসিকাকে দেখছি, আর তখনই বুঝেছিলাম নিজের ব্যক্তিত্ব হারিয়ে ফেলছি।’
এর পর থেকে তিনি চুল স্ট্রেইট করা একেবারে বন্ধ করে দেন।
তিনি বলেন, এবার রেকর্ডের জন্য আবেদন করতে গিয়ে তার অ্যাফ্রোর মাপ নিতে তিনজনের একটি দলকে টেপ মেজার হাতে কাজ করতে হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘রেকর্ড ভেঙেছি জেনে আমি সত্যি হতবাক হয়ে যাই, কারণ তখনো বিষয়টা ঠিকভাবে মনে ধরেনি, বাস্তবও মনে হচ্ছিল না। তবে এটা সত্যিই অসাধারণ। কারণ ছোটবেলার আমি আজকের আমিকে দেখে ভীষণ গর্বিত হতো।’
টিজে/টিএ