মালয়েশিয়ার মেয়েদের কাছে হেরে প্রথমেই দায়ভার নিজের কাধে নিয়েছেন বাংলাদেশ নারী দলের কোচ পিটার জেমস বাটলার। এরপর তার খেলার ধরণ বা ডিফেন্ডিং সংক্রান্ত প্রশ্ন না করতেও চটে যান বাটলার। জানান ভেতরের এবং বাইরের কিছু লোক তার কাজকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বাটলার বলেন, আপনারা যদি এমনটাই চান, তাহলে কালই আমি ইংল্যান্ডে ফিরে যাব।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাটলারের কাছে প্রশ্ন ছিল ম্যাচের ফলাফল এমন কেন হল? বাটলার উত্তর দেন, ‘যেমনটা আমি বললাম, আমি সবকিছুর দায় নিচ্ছি, কিন্তু বাইরে থেকে যারা বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে তাদের দায়ভার আমি নিচ্ছি না এবং আপনারা জানেন তারা। সেই চরিত্রগুলোকে জানেন যারা আসলে দলটিকে বিরক্ত করার চেষ্টা করছে। কারণ তারা খুব, খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং তাদের মধ্যে কেউ কেউ সেই দলের সাথে খেলছিল।’
‘এ বিষয়টির সাথে আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এটা চলে যাবে না। দুর্ভাগ্যবশত, এটাই এখানকার প্রকৃতির নিয়ম। আমি সঠিক কাজ করার চেষ্টা করছি। আমি একটি দল গড়ার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন যদি একজন নতুন কোচ খুঁজতে চায়। আমার তাতে কোনো সমস্যা নেই। কোনো সমস্যা নেই। আপনারা যদি এটাই চান, তাহলে আমি কালই ইংল্যান্ডে ফিরে যাব। কিন্তু যতদিন আমি এখানে আছি, বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য তরুণ খেলোয়াড়দের সুযোগ দিতে থাকব এবং যারা বিষাক্ত এবং যাদের মনোভাব খারাপ, আমি তাদের বের করে দেব।’
‘আমি নাম উল্লেখ করছি না কারণ আপনি জানেন আমি কার কথা বলছি। যদি আপনাকে অবাধ্যতার কারণে একটি দল থেকে বাদ দেওয়া হয় এবং আমি একজন কোচ হিসেবে একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করতে চাই। আমি মনে করি আমাদের ৯০% আছে, এই দলের মধ্যে আমাদের সত্যিই একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ আছে।’
‘আমি মনে করি বাংলাদেশের মেয়েদের ফুটবলের জন্য সত্যিই খুব উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ রয়েছে। কিন্তু যতক্ষণ না কিছু নির্দিষ্ট চরিত্র বাইরে এবং ভেতরেও সমস্যা তৈরি করছে, আমরা চেষ্টা করতে থাকব। এখন যদি এর মানে হয় আমার সরে যাওয়া, তাহলে আমি সানন্দে সেটা করব এবং অন্য কেউ আসব। কিন্তু একই সমস্যাগুলো দেখা দেবে।’
‘আমি বলতে চাই, খেলোয়াড়দের কাছে আমার একটাই কথা- শক্তিশালী বৈশিষ্ট্যের হতে হবে, এই ঝড় সহ্য করতে হবে। নিজেদের উপর বিশ্বাস হারানো যাবে না এবং সঠিক কাজগুলো চালিয়ে যেতে হবে। আমি এখানে থাকি বা না থাকি।’
এমআর/টিএ