প্রথমার্ধে লড়াই হলো সমানে সমান, বিরতির পর তা একপেশে করে ফেলল আর্সেনাল। দারুণ কিছু সেভ করার পর মারাত্মক এক ভুল করলেন মানুয়েল নয়ার। বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠল মিকেল আর্তেতার দল।
এমিরেটস স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে ৩-১ গোলে জিতেছে আর্সেনাল। ইউরিয়েন টিম্বার আর্সেনালকে এগিয়ে নেওয়ার পর সমতা টানেন লেনার্ট কার্ল।দ্বিতীয়ার্ধে ননি মাদুয়েকের গোলে স্বাগতিকরা দ্বিতীয়বার এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান বাড়ান গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি।
চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে প্রথম হারের তেতো স্বাদ পেল বায়ার্ন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রাথমিক পর্বে একমাত্র দল হিসেবে প্রথম পাঁচ ম্যাচের সবকটি জিতে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে চূড়ায় এখন আর্সেনাল।
১২ পয়েন্ট করে নিয়ে পরের চারটি স্থানে যথাক্রমে আছে পিএসজি, বায়ার্ন, ইন্টার মিলান, ও রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচে বায়ার্ন ৬০ শতাংশ পজেশন রাখলেও আক্রমণে আধিপত্য করে আর্সেনাল। গোলের জন্য আর্তেতার দলের ১২ শটের ৮টি ছিল লক্ষ্যে। আর ভেসোঁ কম্পানির দল ৮টি শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখতে পারে কেবল ২টি।
বল দখলে বায়ার্ন শুরু থেকে এগিয়ে থাকলেও বারবার তাদের রক্ষণে হানা দিচ্ছিল আর্সেনাল। ২২তম মিনিটে মৌসুমে আরেকটি সেট পিস থেকে গোল করে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। বুকায়ো সাকার কর্নারে লাফিয়ে হেডে জালে বল পাঠান ডাচ ডিফেন্ডার টিম্বার।
এই মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে কর্নার থেকে ১০টি গোল করল আর্সেনাল, ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের দলগুলোর মধ্যে যা সর্বোচ্চ।
জবাব দিতে অবশ্য বেশি সময় লাগেনি বায়ার্নের। ৩২তম মিনিটে চমৎকার দলীয় নৈপুণ্যে সমতায় ফেরে তারা। মাঝমাঠ থেকে জসুয়া কিমিখের উঁচু করে বাড়ানো বল বক্সে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে পেনাল্টি স্পটের কাছে পাঠান সের্গে জিনাব্রি, বাঁ পায়ের শটে বাকিটা সারেন ১৭ বছর বয়সী জার্মান অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার কার্ল।
চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আর্সেনালের জালে কারো প্রথম গোল এটি। এই গোলের জন্য হ্যারি কেইন ছাড়া বায়ার্নের বাকি খেলোয়াড়রা মিলে বিল্ডআপের সময় বল স্পর্শ করেন মোট ২৪ বার। প্রথমার্ধে আর উল্লেখযোগ্য সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কেউ। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে প্রতিপক্ষের ভুল পাসে বল পেয়ে বক্সে ঢুকে জোরাল শট নেন সাকা, এক হাতে ক্রসবারের ওপর দিয়ে বল পাঠান গোলরক্ষক মানুয়েল নয়ার।
৫৮তম মিনিটে আর্সেনালের আরেকটি কর্নারে মিকেল মেরিনোর হেড পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। দুই মিনিট পর কাছ থেকে মোসকেরার হেড ফিরিয়ে দেন নয়ার। ৬৯তম মিনিটে দ্বিতীয়বার এগিয়ে যায় আর্সেনাল। বাঁ দিক থেকে বক্সে রিকার্দো কালাফিওরির পাস দারুণ ফিনিশিংয়ে জালে পাঠান মাদুয়েকে।
নয়ারের মারাত্মক ভুলে ৭৭তম মিনিটে ব্যবধান বাড়িয়ে বায়ার্নের ঘুরে দাঁড়ানোর পথ আরও কঠিন করে তোলেন মার্তিনেল্লি। আর্সেনালের বক্সের কাছে বল থাকায় স্বভাবসুলভভাবে প্রায় মাঝমাঠে উঠে গিয়েছিলেন জার্মান গোলরক্ষক। এবেরেচি এজের ক্রস দারুণ স্পর্শে নয়ারের পাশ দিয়ে বল নিয়ে এগিয়ে ফাঁকা জালে পাঠান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
বাকি সময়ে তেমন কিছু করতে পারেনি কেউ।
এমআর/টিএ