নেইমারের বাঁ হাঁটুর মেনিসকাসে চিড় ধরা পড়েছে। চিকিৎসকদের পরামর্শ হলো জরুরি ভিত্তিতে আর্থ্রোস্কোপি সার্জারি করা, যা করলে মৌসুমের বাকিটা অংশ তিনি মিস করবেন।
এদিকে তার ক্লাব সান্তোস আছে রেলিগেশন এড়ানোর লড়াইয়ে। নেইমারকে তাদের ভীষণ প্রয়োজন। এই অবস্থায় চোট নিয়েই অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার, হাঁটু ‘ফেটে যেতে পারে’ এমন ঝুঁকি থাকার পরও।
৩৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডের সামনে এখন কঠিন সিদ্ধান্ত-নিজের হাঁটুর ঝুঁকি নিয়ে কি দলের রেলিগেশন এড়ানোর লড়াইয়ে মাঠে নামবেন, নাকি চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে বিশ্রামে যাবেন।
সাম্প্রতিক ম্যাচে ইন্টারনাসিওনালের বিপক্ষে ১-১ ড্রয়ের সময় হাঁটুর ব্যথার কারণে দলে ছিলেন না নেইমার। ব্রাজিলিয়ান লিগে তিন ম্যাচ বাকি থাকতে সান্তোস রয়েছে অবনমন অঞ্চলের ঠিক ওপরে (১৭তম স্থানে)। এই অবস্থায় তাকে ‘নেতা’ হিসেবে মাঠে দেখতে চান কোচ হুয়ান পাবলো ভোজভোদা।
ভোজভোদা বলেন, ‘স্পোর্ট ম্যাচে তাকে পাওয়ার পরিকল্পনা আছে। সিদ্ধান্তটা শেষ পর্যন্ত নেইমারের। সে সবসময় খেলতে চায়। ব্যথা সত্ত্বেও সে চেষ্টা করছে। আমরা জানি, আমরা তিন দিনে একবার করে ম্যাচ খেলছি। সে আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তিনটা ম্যাচেই আমরা তাকে চাই।’
বুধবারের অনুশীলনে নেইমারকে দেখা গেলেও তিনি স্পষ্টতই শতভাগ ফিট নন। তিনি নন-কন্ট্যাক্ট ট্রেনিং করেছেন এবং বাঁ হাঁটুতে সাপোর্ট বাঁধা ছিল। ব্রাজিলিয়ান গণমাধ্যম গ্লোবো জানায়, তার হাঁটু যে কোনো বড় আঘাতে ‘ফেটে যেতে’ পারে, তাই চিকিৎসকরা অবিলম্বে বিশ্রাম এবং সার্জারির পরামর্শ দিচ্ছেন।
কিন্তু এই সার্জারি করলে এক মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে, যা তার মৌসুম এখানেই শেষ করে দেবে এবং ২০২৬ সালের শুরুর ম্যাচসহ মার্চে ব্রাজিল জাতীয় দলে ফেরার সুযোগও হুমকির মুখে ফেলতে পারে।
সব ঝুঁকি জেনেও, সান্তোসকে অবনমন থেকে বাঁচাতে নেইমার এখনো নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে ভাবছেন। তার সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করছে সবকিছু।
টিজে/টিকে