বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার চিকিৎসাকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল ঘিরে জোরদার করা হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকায় অবস্থিত এভারকেয়ার হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, হাসপাতালটির প্রধান ফটকে ব্যারিকেড দিয়ে নিরাপত্তার দ্বায়িত্ব পালন করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এভারকেয়ার হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনের সড়কটির এক পাশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রধান ফটকের সামনেই সড়কের ওপরে দেওয়া হয়েছে ব্যারিকেড। তবে সড়কজুড়ে লোকজনের ভিড় চোখে পড়ার মতো।
এছাড়াও, হাসপাতালটির গেটে র্যাব, পুলিশ, বিজিবিসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিরাপত্তার দ্বায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
এর আগে গত সোমবার (১ডিসেম্বর) রাত ২টার দিকে হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে ব্যারিকেড বসায় পুলিশ।
সে সময় হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছিল, অন্যান্য রোগী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করতে, হাসপাতালের আশেপাশে ভিড় ঠেকাতে এবং খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা জোরদার করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়।
এর আগে, সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ ঘোষণা করে সরকার। ফলে তার সুরক্ষার জন্য এসএসএফ মোতায়েন করা হয়।
জানা গেছে, হাসপাতালের চতুর্থ তলায় একটি কেবিনে আছেন খালেদা জিয়া। হাসপাতাল কর্মকর্তারা জানান নিরাপত্তার কারণে সেই তলার আশেপাশের কেবিনগুলো খালি করে দেওয়া হয়েছে।
হৃৎপিণ্ড এবং ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ার পর ২৩ নভেম্বর খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৮০ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস এবং কিডনি, ফুসফুস, হৃদপিণ্ড এবং চোখের সমস্যাসহ একাধিক জটিলতায় ভুগছেন।
টিজে/এসএন