পাবনার ঈশ্বরদীতে আটটি কুকুরছানা বস্তায় ভরে পুকুরে ফেলে হত্যার ঘটনায় মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঈশ্বরদী উপজেলার ভাড়া বাসা থেকে অভিযুক্ত নিশি খাতুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রাণী কল্যাণ আইন-২০১৯ অনুযায়ী দায়ের করা মামলায় তিনি একমাত্র আসামি। অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্বস্তি প্রকাশ করছেন অনেকে।
কুকুর ছানাগুলোর হত্যায় অভিযুক্ত নারী গ্রেপ্তার হওয়ার পর এ বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মডেল ও অভিনেত্রী পিয়া জান্নাতুল। নিজের ভেরিফায়েড পেজে পিয়া জান্নাতুল লেখেন, ‘সরকারি চাকুরের স্ত্রী বলেই যা ইচ্ছে তা-ই করা যায় এই ভাবটা যে ভুল, আজকের গ্রেপ্তারটাই তার পরিষ্কার প্রমাণ। আটটা নিরীহ কুকুরছানাকে ব্যাগে ভরে পুকুরে ফেলে দেওয়া… এটা শুধু নিষ্ঠুরতা না, এটা মানুষ হিসেবে আমাদের লজ্জা।’
তিনি আরো লেখেন, ‘যারা মনে করেন প্রাণীরা কথা বলতে পারে না, তাই তাদের ওপর যা ইচ্ছা করা চলে এখন থেকেই সাবধান হয়ে যান। এই দেশের মানুষ আর আইন আগের মতো চুপ করে থাকবে না। শাস্তি আরো কড়া হবে, আরো কঠিন হবে।’
এরপর প্রাণী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে পিয়া বলেন, ‘প্রাণীকে কষ্ট দেওয়ার আগে ভাববেন, তাদেরও জীবন আছে, ব্যথা আছে। অবলা প্রাণীদের ওপর শক্তি দেখানো শেষ, এখন জবাবদিহির সময়।’
উল্লেখ্য, গত রবিবার সন্ধ্যার পর উপজেলা পরিষদ চত্বরে থাকা আটটি কুকুরছানাকে বস্তায় ভরে পুকুরে ডুবিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে নিশি খাতুনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। প্রশাসনও দ্রুত ব্যবস্থা নেয় এবং মঙ্গলবার অভিযুক্তের পরিবারকে সরকারি কোয়ার্টার ছাড়ার নির্দেশ দেয়। পরে গভীর রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে মা কুকুরটিকে, যে সন্তান হারানোর পর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ ঘটনার তদন্তে ঢাকার একটি বিশেষ প্রাণী অধিকার সংগঠনের দল ইতিমধ্যেই ঈশ্বরদীতে পৌঁছেছে।
এসএস/এসএন