আইপিএলের মিনি নিলামে অতীতে বিদেশি খেলোয়াড়দের জন্য রেকর্ড পরিমাণ পারিশ্রমিক দেখা গেছে। ১৬ ডিসেম্বর আসন্ন নিলামে সেই ধারা এগিয়ে নিতে পারেন অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিন।
এবারের আইপিএলের মিনি নিলামে সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় হতে পারেন ক্যামেরন গ্রিন। এমন ধারণার কারণ, কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর) ও চেন্নাই সুপার কিংসের (সিএসকে) হাতে থাকা অর্থের পরিমাণ। এই দুই ফ্র্যাঞ্চাইজির হাতে সর্বোচ্চ অর্থ রয়েছে (যথাক্রমে ৬৪.৩ কোটি ও ৪৩.৪ কোটি রুপি)। তাই তারা এই অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডারকে দলে ভেড়াতে শক্তিশালী বিড দিতে পারে।
২০২৩ সালে মিচেল স্টার্ককে কেকেআর ২৪.৭৫ কোটিতে কিনেছিল। এর মিনিট কয়েক আগে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (এসআরএইচ) প্যাট কামিন্সকে ২০.৫ কোটিতে দলে নিয়েছিল—যা ছিল প্রথমবার কোনো খেলোয়াড়ের ২০ কোটির ঘর ছাড়ানো। যা ২০২৩ সালের আগের মিনি নিলামে পাঞ্জাব কিংসের (পিবিকেএস) স্যাম কারানের জন্য ১৮.৫ কোটির বিডও ছাপিয়ে যায়।
২০২৩ এর নিলামে গ্রিনকে ১৭.৫ কোটি রুপিতে কিনেছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। সে বছরের নিলামে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দামি খেলোয়াড় ছিলেন এই অজি অলরাউন্ডার। পরে একই দামে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কাছে তাকে বিক্রি করে মুম্বাই। গ্রিন ২০২৩ ও ২০২৪ এই দুই আইপিএল মৌসুম মিলিয়ে ২৯ ম্যাচ খেলে ১৫৩.৭০ স্ট্রাইক রেটে ৭০৭ রান করেছেন। আসন্ন নিলামের জন্য তিনি সর্বোচ্চ ভিত্তিমূল্য ২ কোটি টাকা রেখেছেন।
এবারও বড় অঙ্কের পারিশ্রমিক পাওয়ার প্রবল সম্ভবনা থাকলেও নিশ্চিতভাবে ২০ কোটি ছাড়াবে না, কারণ নতুন নিয়ম অনুযায়ী একজন বিদেশি খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ ফি ১৮ কোটি টাকার বেশি হতে পারবে না, এমনকি বিড এর চেয়ে বেশি হলেও।
এই নিয়ম আনা হয়েছিল কারণ ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো অভিযোগ করেছিল যে কিছু বিদেশি খেলোয়াড় শুধুমাত্র মিনি নিলামে অংশ নিয়েই যোগান-চাহিদার ফারাককে কাজে লাগিয়ে অতিরিক্ত পারিশ্রমিক পেতে চাইছে। তাই আইপিএল ১৮ কোটি টাকার সর্বোচ্চ-ফি নিয়ম চালু করে, যা ২০২৫ মেগা নিলামের আগে ভারতীয় দলগুলোর খেলোয়াড় ধরে রাখার সর্বোচ্চ স্ল্যাবের সঙ্গে মিলিয়ে নির্ধারিত।
যদি বিড ১৮ কোটির বেশি হয়, সেই অতিরিক্ত অর্থ বিসিসিআই খেলোয়াড় কল্যাণে ব্যয় করবে। গত বছর ফ্র্যাঞ্চাইজিদের দেওয়া এক নোটে আইপিএল জানিয়েছিল, 'মিনি নিলামে কোনো বিদেশি খেলোয়াড়ের ফি ১৮ কোটির বেশি হবে না এবং মেগা নিলামের সর্বোচ্চ দামের চেয়েও বেশি হবে না। যদি মেগা নিলামে সর্বোচ্চ দাম ২০ কোটি হয়, তাহলে ১৮ কোটি হবে ক্যাপ। আর যদি সর্বোচ্চ দাম ১৬ কোটি হয়, তাহলে ক্যাপ হবে ১৬ কোটি।'
নিয়ম অনুযায়ী নিলাম স্বাভাবিকভাবেই চলবে যতক্ষণ না খেলোয়াড় বিক্রি হয়, এবং ফ্র্যাঞ্চাইজির পার্সে থাকা পুরো অর্থ শেষ না হয়। তবে '১৬ বা ১৮ কোটি'র বেশি অর্থ কোনো খেলোয়াড়ের জন্য ব্যয় করলে অতিরিক্ত অংশ বিসিসিআইয়ের কাছে জমা পড়বে এবং তা খেলোয়াড় কল্যাণে ব্যবহৃত হবে।
তবে, এই সর্বোচ্চ ফি নিয়ম ভারতীয় খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তারা বিডের পূর্ণ অর্থই পাবেন এবং তা পুরোপুরি ফ্র্যাঞ্চাইজির পার্স থেকে কাটা হবে।
দলগুলোর মোট ৭৭টি খালি জায়গা থেকে পূরণের জন্য নিলাম হবে, যার মধ্যে ৩১টি স্লট বিদেশি খেলোয়াড়দের জন্য। দীর্ঘ তালিকায় ১৬ জন ক্যাপড ভারতীয় খেলোয়াড় আছেন। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের চূড়ান্ত তালিকা জমা দিলে তালিকা ছোট করা হবে।
আইকে/এসএন