রিয়াল মাদ্রিদে নয় মৌসুম খেলেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এই সময়ে স্প্যানিশ ক্লাবটির হয়ে অসংখ্য রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। কিন্তু পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড চলে যাওয়ার পর প্রশ্ন উঠেছিল, আবার কি কেউ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে এসে এমন মহাতারকা হয়ে উঠতে পারবেন?
সেই উত্তর আপাতত পেয়ে গেছে রিয়াল মাদ্রিদ। গত মৌসুমে দলে যোগ দিয়েই গোলের বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ২৬ বছর বয়সী এই ফরাসি ফরোয়ার্ড এমন ফর্মে আছেন যে, শৈশবের আদর্শ রোনালদোর বেশ কয়েকটি রেকর্ড এখন সরাসরি হুমকির মুখে।
একপঞ্জিকা বর্ষে রিয়ালের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড রোনালদোর দখলে। ২০১৩ সালে ৫৯ গোল করেছিলেন তিনি, এটাই ছিল তার ক্লাব ক্যারিয়ারের সেরা বছর। ১২ বছর পর সেই রেকর্ড ভেঙে দিতে পারেন এমবাপ্পে, ৫৫ গোল নিয়ে সিআরসেভেনের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন তিনি।
রোনালদোকে ছুঁতে সামনে চারটি ম্যাচ পাচ্ছেন এমবাপ্পে। রোববার (৭ ডিসেম্বর) ঘরের মাঠ বার্নাব্যুতে লা লিগার ম্যাচে সেল্তা ভিগোর মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ। এরপর ১০ ডিসেম্বর চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়ালের প্রতিপক্ষ ম্যানচেস্টার সিটি। এরপর লিগের প্রতিপক্ষ আলাভেস ও সেভিয়া।
গত মৌসুমে ৩১ গোল করে ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু ও লা লিগার সর্বোচ্চ স্কোরারের পুরস্কার জেতেন এমবাপে। বর্তমানে দারুণ ফর্মে তিনি। চলতি মৌসুমে ১৫ ম্যাচে গোল করেছেন ১৬টি। আর পাঁচ চ্যাম্পিয়নস লিগ ম্যাচে গোল ৯টি। এমবাপে ২০২৪ সালে পিএসজি থেকে যোগ দিয়ে ৭৯ ম্যাচে করেছেন ৬৯ গোল।
লা লিগায় এক মৌসুমে সর্বাধিক গোলের রেকর্ডও রোনালদোর দখলে, ৪৮ গোল করেছিলেন তিনি। চলতি মৌসুমে লিগে এমবাপ্পে এখন পর্যন্ত ১৫ ম্যাচে করেছেন ১৬ গোল। এমবাপ্পেকে রেকর্ড ভাঙতে বাকি ২৩ ম্যাচে করতে হবে ৩৩ গোল, ফর্ম বিবেচনায় অসম্ভব নয়।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও এক মৌসুমে রোনালদোর সর্বোচ্চ গোল ১৭ (২০১৩–১৪)। এ মৌসুমে মাত্র ৫ ম্যাচেই এমবাপ্পে পেয়ে গেছেন ৯টি গোল। রোনালদোর রেকর্ড ছোঁয়ার জন্য বাকি ৮, আর ছাড়িয়ে যেতে ৯ গোল প্রয়োজন। নতুন ফরম্যাটে বেশি ম্যাচ খেলতে পারায় এমবাপ্পের সুযোগ আরও বড়।
পিএ/টিএ