২০১১ সালের জানুয়ারিতে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শেষবার জয়ের মুখ দেখেছিল ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এরপর আরও ১৭টি টেস্ট খেললেও একবারও জয়ের মুখ দেখেনি ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এর চেয়ে বেশি টেস্টে জয়হীন থাকার রেকর্ড আছে শুধু নিউজিল্যান্ডের।
ইংল্যান্ডের মতোই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে জয়ের অপেক্ষা বাড়ল জো রুটেরও। ইংল্যান্ডের এই কিংবদন্তি যে এখনও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের মাটিতে জয়ের মুখ দেখেননি।
বৃথা গেল অস্ট্রেলিয়ায় জো রুটের প্রথম সেঞ্চুরিও। ব্রিসবেন টেস্টে ১৩৮ রানের দারুণ ইনিংসও ইংল্যান্ডকে জয় এনে দিতে পারেনি। ৮ উইকেটের হারে এবারের অ্যাশেজের প্রথম দুই ম্যাচ শেষে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে ইংল্যান্ড। আর এই হারে অনাকাঙ্ক্ষিত বিশ্বরেকর্ডের মালিক বনে গেছেন রুট। প্রতিপক্ষের মাঠে সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলেও জয়হীন থাকার রেকর্ড এখন এই ইংলিশ কিংবদন্তির।
অস্ট্রেলিয়ায় এখন পর্যন্ত ১৬ টেস্ট খেলেও জয়হীন রুট। আর তাতেই পেছনে ফেলেছেন ভারতের কিংবদন্তি অলরাউন্ডার কপিল দেবকে। পাকিস্তানের মাটিতে ১৫টি টেস্ট খেলেও জয়ের দেখা পাননি কপিল, হেরেছেন পাঁচটি এবং বাকি ১০ ম্যাচেই হয়েছে ড্র।
কপিলের রেকর্ড ভাঙা রুটের অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে রেকর্ড আরও বাজে। এই ১৬ টেস্টের ১৪টিতেই হেরেছে ইংল্যান্ড, ড্র হয়েছে বাকি দুই ম্যাচ।বিদেশে কোনো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এর চেয়ে বেশি হারের রেকর্ড ইংল্যান্ডের আর মাত্র দুজন খেলোয়াড়েরই আছে। অ্যালিস্টার কুক ও জেমস অ্যান্ডারসন হেরেছেন ১৫টি করে টেস্ট।
রুটের মতো ইংল্যান্ডও বিশ্বরেকর্ড গড়ার পথে আছে। আগামী ১৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া অ্যাডিলেইড টেস্টে জিততে না পারলেই প্রতিপক্ষের মাঠে টানা সর্বোচ্চ ম্যাচ জয়হীন থাকার রেকর্ডে ভাগ বসাবে ইংল্যান্ড। টানা ১৮ ম্যাচ জয়হীন থেকে রেকর্ডটা বর্তমানে নিউজিল্যান্ডের দখলে।
ব্রিসবেনে অবশ্য একটা মাইলফলকও ছুঁয়েছে ইংল্যান্ড। এটি ছিল বিদেশের মাটিতে তাদের ২০০তম টেস্ট হার। এর মধ্যে ১০১টিই হেরেছে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে।
এমআর/টিকে