সান্তোসকে অবনমন এড়াতে শেষ ম্যাচে ব্যথা নিয়েই খেলেছিলেন নেইমার। ক্রুজেইরোর বিপক্ষে ৩-০ গোলের গুরুত্বপূর্ণ জয়ের পরই জানালেন, এখন তাকে বাধ্য হয়েই হাঁটুর অস্ত্রোপচার করাতে হবে। আর এ ঘোষণাই নতুন করে শঙ্কা তৈরি করেছে আগামী বছরের বিশ্বকাপে তার খেলার সম্ভাবনা ঘিরে।
রবিবার ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের নেইমার বলেন, ‘আমি দলকে সাহায্য করতেই ফিরেছিলাম। গত কয়েক সপ্তাহ আমার জন্য খুব কঠিন ছিল। চোটের কারণে না খেললেও, শেষ কয়েক ম্যাচে দলকে বাঁচাতে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। যারা আমাকে মানসিকভাবে সাপোর্ট দিয়েছেন, তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’
৩৩ বছর বয়সী এই তারকা জানুয়ারি মাসে সৌদি আরব থেকে শৈশবের ক্লাব সান্তোসে ফেরেন।
লিগের শেষ চার ম্যাচে পাঁচ গোল করে তিনি দলকে ব্রাজিলের শীর্ষ লিগে টিকে থাকতে বড় ভূমিকা রাখেন। তবে চোটের কারণে পুরো মৌসুমে তিনি মাত্র ২০টি ম্যাচ খেলতে পারেন।
অস্ত্রোপচারের ধরণ বা পুনর্বাসনে কতসময় লাগবে, তা নিয়ে কিছুই জানাননি নেইমার। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারের পর তার মাঠে ফিরতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।
এদিকে ব্রাজিল জাতীয় দলেও নেইমার গত দুই বছর ধরে খেলছেন না। নতুন কোচ কার্লো আনচেলত্তি আগেই বলেছিলেন, ‘বিশ্বকাপের দলে ফিরতে হলে নেইমারকে শারীরিকভাবে শতভাগ ফিট হতে হবে।’
১১ জুন থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত কানাডা, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ বিশ্বকাপ। নেইমারের সময়মতো ফিরতে পারা এখন বড় প্রশ্নই থেকে গেল।
এমআর/টিকে