ওটিটিতে জমজমাট সময় কাটছে নেটফ্লিক্সের আলোচিত সিরিজ হীরামণ্ডি। সেখানে রাজসিক আবহে যিনি নিজের সৌন্দর্য আর অভিনয়গুণে দর্শককে মোহাবিষ্ট করে রেখেছেন, তিনি অভিনেত্রী অদিতি রাও হায়দারি। পর্দায় তাঁর অনাবিল সৌন্দর্যের মতোই চরিত্রের ভেতরে ডুবে যাওয়ার যে নির্ভীকতা, সেটিই তাঁকে আজকের আদিতি করে তুলেছে।
সম্প্রতি এক খোলামেলা আলাপে অভিনেত্রী জানালেন, তাঁকে টানে আসলে সেসব নির্মাতা, যাঁরা অভিনয়শিল্পীকে চ্যালেঞ্জ নিতে বাধ্য করেন। বলিউড থেকে দক্ষিণী সিনেমা, সব ক্ষেত্রেই কাজ করেছেন তিনি। পাশাপাশি তাজ কিংবা জুবিলির মতো ওটিটির কাজেও রেখেছেন দারুণ ছাপ। কিন্তু যেখানেই যান না কেন, তাঁর প্রথম লক্ষ্য থাকে নিজের সীমা ভেঙে নতুন কিছু শেখা।
অদিতির ভাষায়, তিনি সবসময় চান তাঁকে যেন একটু ধাক্কা দেওয়া হয়, যেন বুকের ভেতর কাঁপুনি ধরে। তাঁর কথায়, সেই অনুভূতি ঠিক প্রজাপতির ডানা ঝাপটানো নয়, বরং যেন পেটের ভেতর হাতি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে! এই “ভালো ভয়” নাকি তাঁকে আরও সাহসী করে, তাঁকে অভিনেত্রী হিসেবে পরিপক্ব করে তোলে।
সঞ্জয়লীলা ভন্সালির মতো মহৎ নির্মাতার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে শুরু করে নতুন প্রজন্মের গল্পকারদের ওপর তাঁর নির্ভরতা, সবই মিলিয়ে আদিতির পথচলার প্রতিটি ধাপ পূর্ণ হয়েছে আস্থা, সহযোগিতা আর শিল্পসৃজনের স্বাদে। ক্যামেরার পেছনেও তিনি সমান উষ্ণ। ধর্মেন্দ্র কিংবা নাসিরউদ্দিন শাহের মতো কিংবদন্তীদের সঙ্গে কাজের স্মৃতি মনে করতেই তাঁর কণ্ঠে ফুটে ওঠে মমতা আর শ্রদ্ধা।
আজকের কনটেন্ট-নির্ভর যুগে দ্রুত বদলে যাওয়া গল্প আর চরিত্রের মাঝে অদিতি রাও হায়দারি দাঁড়িয়ে আছেন নিজের অটুট কারিগরি নৈপুণ্য নিয়ে। তিনি জানেন, সিনেমা একার কারও নয়; এটি সম্মিলিত চেষ্টার ফল। তাই সহযোগিতা, বিশ্বাস আর দুঃসাহসী সৃজনশীলতায় ভর করেই তিনি মেলে ধরছেন নিজের অভিনয়জগৎ।
আইকে/এসএন