ভূমিকম্পে আটকে পড়লে কী করবেন?

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এতে মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূমিকম্প বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ও ডেকে আনতে পারে। তাই আতঙ্কিত না হয়ে মনোবল শক্ত রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।

ভূমিকম্প যে কোনো সময় হতে পারে এবং আগেভাগে সঠিকভাবে অনুমান করা প্রায় অসম্ভব। তাই প্রয়োজন আগে থেকেই সচেতনতা ও প্রস্তুতি নেওয়া। আর যদি ভূমিকম্পের পর ধ্বংসাবশেষে আটকে পড়েন, তাহলে আরও বেশি সতর্কতার সঙ্গে প্রতিটি পদক্ষেপ নিতে হবে।

১. শান্ত থাকুন এবং শব্দ করে অবস্থান জানান
ভয় না পেয়ে শান্ত থাকুন এবং জরুরি উদ্ধারকারী দলের জন্য অপেক্ষা করুন। তাদের কাছে নিজের অবস্থান জানানোর চেষ্টা করুন। পাইপ বা দেয়ালে টোকা দিন, যাতে উদ্ধারকারীরা আপনাকে সহজে খুঁজে পেতে পারে। সম্ভব হলে বাঁশি ব্যবহার করে শব্দ করুন, এতে বাইরে সংকেত পৌঁছাতে সুবিধা হবে।

২. চিৎকার কম করুন
অযথা চিৎকার করা থেকে বিরত থাকুন। এতে আপনার শ্বাসকষ্ট ও শক্তির অপচয় হতে পারে। তাই শুধুমাত্র শেষ উপায় হিসেবে চিৎকার করুন, যখন অন্য কোনোভাবে সংকেত দেওয়ার সুযোগ না থাকে।

৩. বেশি নড়াচড়া না করা
ধ্বংসস্তূপ বা ভাঙা দেয়ালের নিচে চাপা পড়লে অতি নড়াচড়া থেকে বিরত থাকুন। এতে ধ্বংসাবশেষ সরে গিয়ে আরও আঘাত বা ক্ষতির ঝুঁকি বাড়তে পারে। শান্ত থেকে শরীর যতটা সম্ভব স্থির রাখাই সবচেয়ে নিরাপদ।

৪. মুখ ঢেকে রাখুন
ধুলাবালি ও ক্ষতিকর কণা যাতে শ্বাসতন্ত্রে প্রবেশ না করে, সেজন্য কাপড়, রুমাল বা স্কার্ফ দিয়ে মুখ ও নাক ভালোভাবে ঢেকে রাখুন।

ভূমিকম্পের পরে করণীয়
ভূমিকম্পের পরে, যদি ঘর খুব ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সতর্কভাবে ঘরে ফিরে যান। গ্যাস লাইন লিক হয়েছে কিনা নিশ্চিত না হলে চুলা ব্যবহার করবেন না এবং সতর্কবার্তা শুনে আরও ভূমিকম্পের ঝুঁকি আছে কিনা যাচাই করুন। ধ্বংসাবশেষের ওপর খালি পায়ে বা পাতলা জুতা পরে হাঁটবেন না। বাড়ি যদি ক্ষতিগ্রস্ত বা নিরাপদ না হয়, সেখানে অবস্থান করবেন না। মোমবাতির পরিবর্তে ফ্ল্যাশলাইট ব্যবহার করুন এবং বৈদ্যুতিক সুইচ অন করার আগে বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করে নিশ্চিত হোন, কারণ বিদ্যুৎ সংযোগে বিস্ফোরণের ঝুঁকি থাকতে পারে। সর্বশেষে, আপনার প্রিয়জনকে জানান যে আপনি নিরাপদে আছেন।

এবি/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বিজয় দিবসে বিনা টিকিটে মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা দেখাবে প্রেক্ষাগৃহ Dec 09, 2025
img
খালেদা জিয়ার সুস্থতাই দেশবাসীর কামনা : টুকু Dec 09, 2025
img
বিজয় দিবসে টিকিট ছাড়াই ঘুরে দেখা যাবে জাদুঘর Dec 09, 2025
img
৬০ ঘণ্টা হ্যান্ডকাফ-শেকল পরিয়ে আরও ৩১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র Dec 09, 2025
img
যশোরে মহিলা লীগ নেত্রী মহুয়া গ্রেপ্তার Dec 09, 2025
img
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় স্লিপার বাস, প্রাণ হারাল ১ Dec 09, 2025
img
এপিবিএন সদস্যের নিথর দেহ উদ্ধার Dec 09, 2025
img

উপদেষ্টা সাখাওয়াত

নির্বাচন দেওয়ার শর্ত ছিল না অন্তর্বর্তী সরকারের Dec 09, 2025
img
স্মৃতির কঠিন সময়ে পাশে জেমাইমা, বিগ ব্যাশ ছেড়ে দেশে রয়ে গেলেন Dec 09, 2025
img
ভূমিকম্পে আটকে পড়লে কী করবেন? Dec 09, 2025
img
প্রথমবারের মতো ওমরাহ পালন করতে গেলেন জায়েদ খান Dec 09, 2025
img
নারী জাগরণের আলোক দিশারী বেগম রোকেয়া: তারেক রহমান Dec 09, 2025
img
খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে আরও অপেক্ষা করবে মেডিক্যাল বোর্ড Dec 09, 2025
img
নারী সমাজকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে এসেছেন বেগম রোকেয়া : প্রধান উপদেষ্টা Dec 09, 2025
img

সাবেক এমপি রুবেল

মানুষের দোয়ায় বেঁচে আছেন খালেদা জিয়া Dec 09, 2025
img
বেগম রোকেয়া দিবস আজ Dec 09, 2025
img
রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ধর্মকে ব্যবহার করছে জামায়াত : এনসিপি Dec 09, 2025
img
না ফেরার দেশে অভিনেতা কল্যাণ চট্টোপাধ্যায় Dec 09, 2025
img
মাহফিলে বয়ানরত অবস্থায় স্ট্রোক, হাসপাতালে প্রাণ গেল বক্তার Dec 09, 2025
img
জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার দেখানো পথে তারেক রহমান : মুরাদ Dec 09, 2025