বেলারুশ থেকে উড়ে আসা চোরাচালানে ব্যবহৃত বেলুনের কারণে জননিরাপত্তায় ঝুঁকি সৃষ্টি হওয়ায় দেশটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। লিথুয়ানিয়ার সরকার আজ মঙ্গলবার এই ঘোষণা দিয়েছে।
লিথুয়ানিয়া উত্তর-পূর্ব ইউরোপের একটি দেশ, যা বাল্টিক রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বৃহত্তম। দেশটি লাটভিয়া, বেলারুশ, পোল্যান্ড ও রাশিয়ার সঙ্গে স্থল সীমানা ভাগ করে নিয়েছে এবং এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য।
লিথুয়ানিয়া অভিযোগ করেছে, বেলারুশ সীমান্ত ব্যবহার করে চোরাকারবারিরা ‘ওয়েদার বেলুন’-এর সাহায্যে অবৈধ তামাকজাত দ্রব্য (সিগারেট) পরিবহন করছে। এর ফলে বারবার ভিলনিয়াস বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ করতে হচ্ছে, যা বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভ্লাদিস্লাভ কনড্রাটোভিচ একটি সরকারি সভায় বলেন, ‘জরুরি অবস্থা কেবল বেসামরিক বিমান চলাচল ব্যাহত হওয়ার কারণে নয়, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেও ঘোষণা করা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, এই ঘোষণার মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে, যাতে পুলিশের সঙ্গে তারা সমন্বয় করে বা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে।
যদিও তিনি বিস্তারিত আর কিছু বলেননি। জরুরি ব্যবস্থার সময়কাল তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।
এদিকে বেলারুশ লিথুনিয়ার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বরং তারা উল্টো অভিযোগ করছে, লিথুয়ানিয়া উসকানি দিচ্ছে এবং ড্রোন ব্যবহার করে ‘চরমপন্থী সামগ্রী’ পাঠানো হচ্ছে।
লিথুনিয়াও অভিযোগগুলোকে মিথ্যা বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। ন্যাটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য লিথুয়ানিয়া একসময় সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল।
ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডের লেইন ১ ডিসেম্বর বলেছেন, সীমান্তের পরিস্থিতি ‘ক্রমশ খারাপ হচ্ছে’ এবং বেলুনের অনুপ্রবেশকে বেলারুশের জন্য একটি ‘হাইব্রিড আক্রমণ’ বলে অভিহিত করেছেন, যা ‘সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য’।
সূত্র : রয়টার্স
আরপি/এসএন