সড়ক ছাড়ল তেজগাঁও কলেজের শিক্ষার্থীরা, ফার্মগেটে যানচলাচল শুরু

তেজগাঁও কলেজ ছাত্রাবাসে ছাত্রদলের হামলায় নিহত সাকিবুল হাসান রানার হত্যার বিচারের দাবিতে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় রাস্তা অবরোধ করেছিল প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। পরে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেওয়া হলে শিক্ষার্থীরা রাস্তা ছেড়ে চলে যায়। এর ফলে ফার্মগেট এলাকায় ফের যান চলাচল শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা রাস্তা ছেড়ে যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

তেজগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, শিক্ষার্থীরা যে দাবিতে রাস্তায় নেমেছিল, তাঁদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে আজ কলেজের অধ্যক্ষ নিজে এসেছিলেন। কলেজের অধ্যক্ষ ও পুলিশের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দেওয়া হয়, রানা হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত, তাঁদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এছাড়া কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের আশ্বাস দেয় যে, তাদের ক্যাম্পাসের ভেতরের যে সমস্যাগুলো আছে, সেগুলো সমাধান করা হবে। এসব আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা রাস্তা ছেড়ে চলে যায়।

শিক্ষার্থীরা চলে যাওয়ার পর ফার্মগেট এলাকায় ফের যান চলাচল চলছে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান তিনি।

এর আগে সকাল ১১টার দিকে রাস্তায় নেমে সহপাঠী হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলন করে প্রতিষ্ঠানটির কয়েকশ শিক্ষার্থী।

গত ১০ ডিসেম্বর দুপুর ১২টায় রানার মৃত্যু হয়। রানা ৫ দিন ধরে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

তেজগাঁও কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, ছাত্রদলের দুটি গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন, বহিরাগত ছাত্র হলে রাখা এবং চাঁদাবাজির মাধ্যমে আধিপত্য বিস্তার করে আসছিল। গত ৬ ডিসেম্বর রাতে হলে বসে মাদক সেবন করলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের বাধা দেয়। এরপর বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। ছাত্রদলের গ্রুপ বহিরাগত শতাধিক লোক নিয়ে হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে বেধড়ক পিটিয়ে তিনজনকে আহত করে। এর মধ্যে গুরুতর আহত হন তেজগাঁও কলেজের উচ্চমাধ্যমিক বিজ্ঞান বিভাগের (২০২৪–২৫) সেশনের শিক্ষার্থী সাকিবুল হাসান রানা।

তাকে গুরুতর অবস্থায় সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা দ্রুত আইসিইউতে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। এরপর তাকে দ্রুত মালিবাগের প্রশান্ত হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়। পাঁচদিন ধরে আইসিইউতে চিকিৎসা চলার পর তার মৃত্যু হয়।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ভারত-চীনের পণ্যে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ শুল্কারোপ করলো মেক্সিকো Dec 11, 2025
img

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা

পুরোনো একটি মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে গৃহকর্মী আয়েশার সন্ধান পায় পুলিশ Dec 11, 2025
img

গভীর গর্তে শিশু

টেকনোলজিতে কতটা পিছিয়ে আমরা, বললেন আলভী Dec 11, 2025
img
ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগে জনপ্রশাসনকে ইসির চিঠি Dec 11, 2025
img
অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ভারত-শ্রীলঙ্কা ও চীনের ক্রিকেটার Dec 11, 2025
img
'ধুরন্ধর' নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে হৃতিকের লম্বা পোস্ট Dec 11, 2025
img
সংবাদ সম্মেলনে নারী সাংবাদিককে চোখ মেরে বিতর্কে পাক আইএসপিআর প্রধান Dec 11, 2025
img
ওবায়দুল কাদের ও মাকসুদ কামালের বিরুদ্ধে সাদিক কায়েমসহ ৩ জনের জবানবন্দি Dec 11, 2025
img
গর্তটির গভীরতা প্রায় ১৫০ ফুট, শিশুটিকে উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে : ফায়ার সার্ভিস Dec 11, 2025
img
পানছড়িতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করায় ৩ ভারতীয় নাগরিক আটক Dec 11, 2025
img
মোহাম্মদপুরের ঘটনায় সেই গৃহকর্মী ৬ দিন, স্বামী ৩ দিনের রিমান্ডে Dec 11, 2025
img
ডিজির সঙ্গে তর্ক, ক্ষমা প্রার্থনায় পদে পুর্নবহাল হলেন সেই চিকিৎসক Dec 11, 2025
img
সৌদি আরবে ঝড়-বৃষ্টি, বন্যার সতর্কবার্তা Dec 11, 2025
img
প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ‘লং মার্চ টু যমুনা’ আটকে দিলো পুলিশ Dec 11, 2025
img

গুমের মামলা

হাসিনা-জিয়াউলের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় বাড়ল Dec 11, 2025
নিষেধাজ্ঞা কার্যকর, সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়াই নতুন বিশ্বে অস্ট্রেলিয়ান কিশোররা Dec 11, 2025
img
৫ দিনের রিমান্ডে শওকত মাহমুদ Dec 11, 2025
ভোলা-৪ চরফ্যাশনে ইসলামী আন্দোলনের মোটরসাইকেল র‍্যালি! Dec 11, 2025
img
তফসিল ঘোষণা ঘিরে কড়া নিরাপত্তায় নির্বাচন ভবন Dec 11, 2025
img
আসিফ-মাহফুজের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, তদন্তের দাবি Dec 11, 2025