কণিকা কাপূরের জীবন ও সংগীতজগতে উত্থানটা সত্যিই রোমাঞ্চকর। লখনউয়ের মর্যাদাপূর্ণ পরিবারের সন্তান কণিকা ছোটবেলা থেকেই সঙ্গীতের প্রতি ঝুঁকে পড়েছিলেন। মাত্র ১২ বছর বয়সে বারাণসীর পণ্ডিত গণেশপ্রসাদ মিশ্রের কাছে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিক্ষা শুরু করে দেশের বিভিন্ন প্রাঙ্গণে গুরুর সঙ্গে মঞ্চে ভজন পরিবেশন করেন। লখনউয়ে সঙ্গীত পড়াশোনার পর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
সঙ্গীত জীবনের সূচনা অনুপ জলোটার হাত ধরে। অনুপের উৎসাহে কণিকা তিন বছরের চুক্তিতে সঙ্গীত নির্মাণ সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হন এবং বলিপাড়ায় ক্যারিয়ার গড়ার জন্য মুম্বই যান। কিন্তু প্রথম বিয়ে, ১৮ বছরে প্রবাসীর সঙ্গে এবং পরবর্তীতে তিন সন্তানের জন্মের পর সংসার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গানে দূরত্ব বজায় রাখেন। ২০১২ সালে স্বামীর পরকীয়ার কারণে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।
পরবর্তী জীবনে দুই সন্তানের সঙ্গে ভারতে ফিরে আসেন, কিন্তু পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ায় অসুবিধা হওয়ায় আবার লন্ডনে ফিরে যান। ২০১৪ সালে ‘রাগিনি এমএমএস২’-এর ‘বেবি ডল’ গান গেয়ে পুনরায় বলিপাড়ায় আত্মপ্রকাশ ঘটান। এরপর ‘লাভলি’, ‘চিট্টিয়া কলাইয়া’, ‘টুকুর টুকুর’, ‘দা দা দাস্সে’–এর মতো হিট গান দেয় কণিকা।
২০২২ সালে দ্বিতীয় বিয়ে করেন গৌতম হাতিরামানির সঙ্গে। চলতি বছরে ‘মেরে হাজ়ব্যান্ড কি বিবি’ ছবিতে শেষ গান পরিবেশন করেন। সম্প্রতি মঞ্চ অনুষ্ঠানে এক শ্রোতার হঠাৎ আচরণের কারণে আলোচনায় আসেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুরাগীদের মধ্যে কণিকা শক্তিশালী উপস্থিতি তৈরি করেছেন, ইনস্টাগ্রামে ১ কোটির বেশি অনুসারী রয়েছে।
আরপি/এসএন