নারায়ণগঞ্জে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ কার্যক্রমে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় একযোগে পরিচালিত অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। সদর মডেল থানা, ফতুল্লা মডেল থানা, সিদ্ধিরগঞ্জ, বন্দর, রূপগঞ্জ, সোনারগাঁও ও আড়াইহাজার থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে তাদের আটক করা হয়।
সদর মডেল থানা পুলিশ মো. আজিজুর রহমান (৪০), জহিরুল ইসলাম শান্ত (২৯), মো. রবিউল হোসেনকে (৬১) গ্রেপ্তার করে।
ফতুল্লা মডেল থানা থেকে মো.আরাফাত হোসেন (৩৩), মো. ফয়েজ আহম্মেদ ওরফে বরফি চোরা মাইজা ফয়েজকে (৫০) গ্রেপ্তার করা হয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকা থেকে নূর সালাম (৬৫), মো. জুয়েল (৩৫), মো. সেন্টু (৩৭), মো. নাঈম হোসেন (২৯), ফিরোজ (৩৫), মো. বাপ্পি (৩৮), রফিকুল ইসলাম (৪৩), মো. মিলন শেখকে (৩৬) গ্রেপ্তার করা হয়। বন্দর থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে আরিফ হোসেন (৩৭), মো. ইয়াকুব আলী (৬৫), মাইদুল ইসলামকে (২৯)।
রূপগঞ্জ থানায় মোহাম্মদ উল্লাহ (৫২), মো. রাকিব মোল্লা (৩৪), ফয়সাল আহাম্মেদ (২৮), দ্বীন ইসলাম অপু (৩৬), মো. মহর আলী (২৮), মো. লিটনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়। সোনারগাঁও থানায় হিরা (৩৩), মো. আঃ রহমান (৫৮) এবং আড়াইহাজার থানা পুলিশ জমির আলী (৫৭), মো. আজিজুর রহমান মোল্লাকে (৬৬) গ্রেপ্তার করে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশনস) তারেক আল মেহেদী বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আমাদের এই অভিযান চলমান থাকবে।’
এদিকে একই দিনে জেলার সাতটি থানা এলাকায় স্থাপিত সাতটি চেকপোস্টে ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় ২৮০টি যানবাহন ও ৩৪৮টি মোটরসাইকেল তল্লাশি করা হয়। ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে বিভিন্ন অপরাধে ২৪টি প্রসিকিউশন দেওয়া হয়েছে এবং ১৪টি মোটরসাইকেল আটক করা হয়েছে।
ইউটি/টিএ