‘হাদি কোনো অনিয়ম সহ্য করতেন না’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদি কোনো অনিয়ম দেখলে সহ্য করতে পারতেন নো বলে জানিয়েছেন তার প্রতিবেশী-স্বজনরা। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তার গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি শহরের খাসমহল এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃত্যুর খবর শুনে তার আত্মীয়-স্বজনরা ছুটে আসেন বাসায়। 

এ সময়  হাদির মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করে ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন তার প্রতিবেশী ও সহপাঠীরা।

হাদির স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। জুলাই বিপ্লবের পরে হাদির মতো একজন বীরযোদ্ধাকে কেন নিরাপত্তা দেওয়া হলো না, এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।

ওসমান হাদির বাসায় বর্তমানে তার বোন মাছুমা সুলতানা বিন হাদি ও ভগ্নিপতি আমির হোসেন আছেন।

ওসমান হাদির শিক্ষক এম এ রহিম বলেন, ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর শুনে ওদের বাসায় আসি।

এখানে অনেক মানুষ ভিড় করেছে। তাদের নিরাপত্তার জন্য ভেতরে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আমি বলতে চাই, ওসমান একজন বীর। তাকে বীরের সম্মান দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

পাশাপাশি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারাই জড়িত তাদের খুঁজে বের করে ফাঁসির দাবি জানাই। আমাদের দেশের মানুষ সোনার টুকরো চেনে না। যখন হারিয়ে যায়, তখন মনে পড়ে। আগে থাকতেই যদি ওসমানদের নিরাপত্তা দেওয়া হতো, তাহলে এই ঘটনা ঘটতো না।

ওসমানের প্রতিবেশী হ্যাপী আক্তার বলেন, ওসমান হাদি ভদ্র ও নিরীহ মানুষ ছিল।

ওর মধ্যে সবসময় বিপ্লব কাজ করতো। কোনো অনিয়ম দেখলে তা সহ্য করতে পারতেন না। যখনই বাড়িতে আসতো, সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতো। ওর বাবাও একজন ভালো মানুষ ছিলেন, তার যোগ্য উত্তরসূরি ছিলেন ওসমান হাদি। তাকে যারা হত্যা করেছে, তাদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।

নলছিটি থানার উপ-পরিদর্শক মো. শেরজাহান বলেন, ওসমান হাদির বাসা ও পরিবারের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাতে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলা যাবে না। তারা নিজেরাই জানিয়েছেন শুক্রবার সকালে সবার সঙ্গে দেখা করবেন। আমরা তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে ভেতরে কাউকে প্রবেশ করতে দিচ্ছি না।

আরপি/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
গণমাধ্যমের ওপর হামলার ঘটনায় প্রেস সচিবের দুঃখপ্রকাশ Dec 19, 2025
img
জুমার নামাজের পর সকল রকমের কর্মসূচিতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান সারজিসের Dec 19, 2025
img
পর্তুগালে নাগরিকত্ব আইনের কিছু ধারা স্থগিত করল আদালত Dec 19, 2025
img
‘ব্যথা’ নিয়ে হাজির বাপ্পা মজুমদার Dec 19, 2025
img
সাম্প্রদায়িক শক্তি ফ্যাসিবাদের চেয়ে ভয়ংকর : গয়েশ্বর চন্দ্র রায় Dec 19, 2025
img
বাবার পাশে শায়িত হওয়ার ইচ্ছা জানিয়েছিলেন হাদি Dec 19, 2025
img
কারওয়ান বাজারে আগুন নেভাতে গিয়ে ২ ফায়ার ফাইটার আহত Dec 19, 2025
img
কারওয়ান বাজারে আগুন নেভাতে গিয়ে ২ ফায়ার ফাইটার আহত Dec 19, 2025
img
ঢাকায় রওনা দিলেন হাদির পরিবার Dec 19, 2025
img
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ, উভয় লেনে যানজট Dec 19, 2025
img
প্রশান্ত মহাসাগরে আরও ২ জাহাজে মার্কিন হামলায় প্রাণ গেল ৫ জনের Dec 19, 2025
img
আফগানিস্তানে ৫.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প Dec 19, 2025
img
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের শনিবারের নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত Dec 19, 2025
img
সারা অর্জুনের কাঁধে চুমু ৭১ বয়সী রাকেশের! Dec 19, 2025
img
সকল প্রকার সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তার সঙ্গে সতর্ক থাকুন : সরকারের বিবৃতি Dec 19, 2025
img
রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক Dec 19, 2025
img
কর্মসূচি স্থগিত, জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিএনপি Dec 19, 2025
img
স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল শাহবাগ, বাড়ছে উপস্থিতি Dec 19, 2025
img
হাদির ন্যায়বিচারের দাবিতে বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ শুরু Dec 19, 2025
img
এবার ঢাকার প্রেক্ষাগৃহেও মুক্তি পেল ‘অ্যাভাটার’ Dec 19, 2025