তারকাদের বয়স নাকি বাড়ে না। আর সেই তারকা যদি দেব হন, তবে জন্মদিনের হিসাব এড়িয়ে যাওয়াই যেন স্বাভাবিক। পঁচিশে ডিসেম্বর, দেবের জন্মদিন। একই দিনে মুক্তি পেয়েছে তাঁর নতুন ছবি ‘প্রজাপতি দুই’। তাই এই বিশেষ দিনটিও তাঁর কাছে আর পাঁচটা দিনের মতোই কাজের। সকাল থেকে এক মুহূর্তের অবসর নেই। বাড়িতে বসে জন্মদিন উদ্যাপন নয়, বরং প্রেক্ষাগৃহে দর্শকের প্রতিক্রিয়া দেখাই তাঁর সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।
তবু কিছু নিয়ম আজও বদলায়নি। জন্মদিন মানেই মায়ের হাতের পায়েস। সেই স্বাদ নিয়েই দিন শুরু করেছেন দেব। মোবাইলের স্ক্রিনে চোখ রেখেছেন সকাল থেকেই, কারণ এখন তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় জায়গা জুড়ে আছে সিনেমা। দেব নিজেই বলেন, আজকের দিনে সিনেমা মানেই যুদ্ধ। দীর্ঘ বিশ বছর ইন্ডাস্ট্রিতে কাটিয়েও প্রতিদিন যেন নতুন করে লড়াই করতে হচ্ছে। বন্ধু থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী এই পরিবর্তনের মাঝেই তাঁকে প্রমাণ করতে হচ্ছে, তাঁর ছবিটিও ভালো।
জন্মদিনে ছবির প্রায় সব শো হাউসফুল এর চেয়ে বড় উপহার আর কী হতে পারে! অফিসে কেকের স্তূপ, জেলার পর জেলা ঘুরলে দর্শকের উন্মাদনা সবই আছে। তবু দেবের চোখে জীবন মানেই লড়াই। সেই লড়াই থামেনি জন্মদিনেও।
এই জন্মদিনে আরেকটি প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছিল টলিপাড়ায়। শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে দীর্ঘদিনের মান-অভিমানের কি অবসান হলো? দেবের ছবির জন্য শুভশ্রী শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছেন, আরও দুটি ছবির জন্যও শুভকামনা জানিয়েছেন। যদিও দেবের চোখে পড়েনি সেই পোস্ট। ‘ধূমকেতু’ মুক্তির পর থেকেই তাঁদের সম্পর্কের সমীকরণ বদলে যায়। পাল্টাপাল্টি মন্তব্যে তৈরি হয়েছিল দূরত্ব।
সম্প্রতি পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের ছেলের অন্নপ্রাশনে এক ফ্রেমে দেখা গেছে দেব ও শুভশ্রীকে। সেই ছবি নতুন করে আলোচনার জন্ম দেয়। তবে দেবের কথায়, জীবন খুব অনিশ্চিত। এত রাগ-অভিমান জমিয়ে রাখার সময় নেই। সিনেমা আর ব্যক্তিগত সম্পর্ক দুটো একসঙ্গে টানার দায়ও তিনি নিতে চান না। তাঁর মতে, তাঁরা দু’জনেই এখন পরিণত, নিজেদের জীবনের পথে ভালো আছেন। সেটাই যথেষ্ট।
জন্মদিনে তাই দেবের দিনলিপিতে আনন্দের পাশাপাশি লড়াইয়ের কথাই বেশি। মায়ের পায়েসের স্বাদ, প্রেক্ষাগৃহে দর্শকের ভিড় আর জীবনের বাস্তবতা এই নিয়েই কাটল তাঁর বিশেষ দিন।
আরপি/এসএন