আজমেরী হক বাঁধন শুধু অভিনয় জগতেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেনি। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে সবসময় দেশের যেকোনো ভালো খারাপ পরিস্থিতিতে গঠনমূলক আলোচনা করেছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনই নয়, শোবিজ তারকারা ও বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। বাঁধন ও তাকে নিয়ে নিজের আশার কথা জানালেন।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) আজমেরী হক বাঁধন তার ফেসবুকে বাংলাদেশের পতাকা জুড়ে দিয়ে একটি পোস্ট করেন। পোস্টে অভিনয়ে তার সাফল্য, সংগ্রাম ও তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে তার আশার কথা তুলে ধরেন ।
শ্যুটিং, ভ্রমণ, পরিকল্পনা আর জীবনের ভারসাম্য সামলাতে গিয়ে গত কয়েকটা দিন বেশ ব্যস্ততায় কাটে বাঁধনের। তবে এরই মাঝে তিনি এমন সব কাজে যুক্ত যেগুলো তাকে অনুপ্রেরণা জোগায়।
বাঁধনের রাজনৈতিক থ্রিলার ‘মাস্টার’ নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কোনোকিছুই সৌভাগ্য নয় বরং বহু বছরের পরিশ্রম, ধারাবাহিকতা আর সততার ফল।’
পাশাপাশি তার ব্লকবাস্টার ছবি ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ কীভাবে তার ক্যারিয়ারের মোড় ঘুড়িয়ে দেয় সে কথা স্মরণ করে বলেন, ‘সুযোগ আসে দৃঢ়তা আর অধ্যবসায়ের মাধ্যমে শর্টকাট দিয়ে নয়।’
সাংস্কৃতিক সম্প্রদায়ের দুর্বল দিক রাজনীতির সবচেয়ে অন্ধকার দিকগুলোরই প্রতিফলন বলে মনে করেন বাঁধন। কিছু শিল্পী উন্নতির বদলে হিংসা, ব্যক্তিগত আক্রমন আর অপমানকেই বেছে নেয়। তবে আমি চাই তারা থামুক, সুস্থ হোক আর আরো ভালো কিছু বেছে নিক।
দেশের সাম্প্রতিক সময়ের অন্যায় আর অনিশ্চয়তা নিয়ে বাঁধন বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকেই এক অনিশ্চয়তা ভার অনুভব করছি। তবুও সেই বেদনার মাঝেই আমি নতুন এক আশার আলো দেখেছি তারেক রহমান ও তার পরিবারের প্রত্যাবর্তনের মধ্যে।’
তিনি আরো বলেন, ‘তারেক রহমানের মানবিক ভাষা, স্ত্রী ও কন্যার প্রতি তার সম্মান, পোষা বেড়ালের প্রতি স্নেহ, ভিআইপি আসন ছেড়ে সাধারণ প্লাস্টিকের চেয়ারে বসার সেই বিনয় আমি লক্ষ্য করেছি।’
বাঁধনের মতে, ‘সহমর্মিতা ও নেতৃত্ব দুটোই ঘর থেকে শুরু হয়।’
তারেক রহমানের প্রতি মুগ্ধতা প্রকাশ করে বলেন, ‘রাজনীতিতে ছোট ছোট জিনিসগুলো গভীর অর্থ বহন করে। এগুলো বুঝিয়ে দেয় ক্ষমতা কি বিশেষ সুবিধার জন্য নাকি মানুষের জন্য। এবার আমি আশা করি আমাদের নেতারা প্রমাণ করবেন যে জবাবদিহিতা, সহমর্মিতা আর সাহস কেবল মুখের বুলি নয়। আমাদের দেশ এমন এক নেতার প্রাপ্য যে শোষন নয়, সেবা করবে।
সবশের্ষ তিনি জীবন ও শান্তিকে অমূল্য বলে এটি রক্ষার উপর জোর দেন।