ক্রিজে গিয়েই গ্যাবি সুলিভ্যানকে টানা দুই ছক্কায় ডানা মেলে দিলেন লরা হ্যারিস। পরের দুই ওভারে মারলেন আরও দুটি। প্রতিপক্ষের বোলারদের ওপর ঝড় বইয়ে রেকর্ড গড়া ফিফটি করলেন অস্ট্রেলিয়ান এই ব্যাটার।
নিউ জিল্যান্ডের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট উইমেন’স সুপার স্ম্যাশে রোববার ১৫ বলে ফিফটি করেন তিনি।
মেয়েদের স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে যা যৌথভাবে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড। ২০২২ সালে গ্লস্টারশায়ারের বিপক্ষে ওয়ারউইকশায়ারের হয়ে ১৫ বলে ফিফটি করেছিলেন ইংলিশ ব্যাটার মেরি কেলি।
অসাধারণ কীর্তি গড়ে আর এগোতে পারেননি হ্যারিস। ফিরে যান ৫২ রান করে। ক্যান্টারবুরির বিপক্ষে রান তাড়ায় ১৭ বলের ইনিংসটি সাজান তিনি ৪টি ছক্কা ও ৬টি চারে।
১৪৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় এদিন ষষ্ঠ ওভারে ক্রিজে যান হ্যারিস। প্রথম বল ডট খেলার পর টানা দুটি ছক্কা মারেন তিনি। পরের দুই ওভারে হাঁকান একটি করে চার ও ছক্কা।
দশম ও একাদশ ওভারে টানা দুটি করে চারে ১৫ বলে পঞ্চাশে পা রাখেন ৩৫ বছর বয়সী হ্যারিস। তার ঝড় থামে সুলিভ্যানের বলে ক্যাচ দিয়ে।
হ্যারিসের বিধ্বংসী ইনিংসে ৩১ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ওটাগো।
সবশেষ উইমেন’স বিগ ব্যাশটা একদমই ভালো কাটেনি হ্যারিসের। তার দল সিডনি থান্ডারও কাটায় ভুলে যাওয়ার মতো আসর; আট দলের টুর্নামেন্টে সপ্তম হয় তারা।
সিডনি থান্ডারের হয়ে সবগুলো ম্যাচই খেলেন হ্যারিস, তবে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পান আট ইনিংসে, যেখানে তার রান কেবল ৬৯। তবে তার ১৯৭.১৪ স্ট্রাইক রেট ছিল আসরের সেরা।
সেই ব্যর্থতা পেছনে ফেলে এবার সুপার স্ম্যাশে জ্বলে উঠলেন হ্যারিস। খেললেন রেকর্ড ছোঁয়া ইনিংস। চলতি বছরের শুরুতেও অবশ্য কেলির রেকর্ডকে তাড়া করেছিলেন হ্যারিস। ভাইটালিটি ব্লাস্টে ডারহামের বিপক্ষে ওয়ারউইকশায়ারের হয়ে ২১ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলার পথে ১৭ বলে ফিফটি ছুঁয়েছিলেন তিনি।
টি-টোয়েন্টিতে এছাড়া তিনটি ১৮ বলের ফিফটি ও একটি ১৯ বলের পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস আছে হ্যারিসের। অর্থাৎ, এই সংস্করণে তার ছয়টি ফিফটিই এসেছে ২০ বলের কম খেলে। মেয়েদের ক্রিকেটে একাধিকবার ২০ বলের কমে ফিফটি করতে পারেননি কেউ।
আরআই/টিএ