তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে ২৬–২৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত মুসলিম আমেরিকান সোসাইটির বার্ষিক সম্মেলনে একটি লিখিত বার্তা পাঠিয়েছেন। বার্তায় তিনি বৈশ্বিক মুসলিম ঐক্যের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন এবং মুসলিম আমেরিকান সমাজের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
প্রতি বছরই এই সম্মেলনে ভিডিও কনফারেন্স বা লিখিত বার্তার মাধ্যমে বক্তব্য দিয়ে থাকেন এরদোয়ান। এবছরের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ছিল— “অগ্নিপরীক্ষায় বিশ্বাস: অশান্ত সময়েও দৃঢ়ভাবে অটল থাকা’’
এরদোয়ান বার্তায় মুসলিম আমেরিকান সোসাইটি কর্তৃপক্ষকে আমন্ত্রণের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তিনি আশা করেন এই সম্মেলন ইসলামী বিশ্বের জন্য ফলপ্রসূ হবে। তিনি বলেন, “দুঃখজনকভাবে যেসব মানুষের সঙ্গে আমাদের হৃদয় একাত্ম, সেসব অঞ্চল আজ যুদ্ধ, সংকট ও অস্থিতিশীলতার চক্রে আবদ্ধ। এই বিশৃঙ্খল সময়ে আমরা কেবল পারস্পরিক বিশ্বাস ও ঐক্যের মাধ্যমেই সব আক্রমণ ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারি। মুসলিম আমেরিকান সমাজের নীতিগত অবস্থান ও উদ্যোগকে আমি অত্যন্ত মূল্যায়ন করি। আমি আশা করি, এই অবস্থান সত্য উপেক্ষাকারী অন্যান্য সম্প্রদায়ের জন্যও উদাহরণ হবে এবং একটি বৈশ্বিক জাগরণের সূচনা করবে।”
সম্মেলনের আয়োজকেরা জানান, এবছরের প্রতিপাদ্য মূলত মুসলিম বিশ্ব, বিশেষ করে ফিলিস্তিনিদের মুখোমুখি হওয়া চ্যালেঞ্জের প্রতিফলন। তারা গাজায় ইসরাইলি হামলায় ২০২৩ সাল থেকে চলমান সহিংসতার শিকার ফিলিস্তিনিদের পক্ষে আন্তর্জাতিক নীরবতা ও ইসরাইলের প্রতি সমর্থনের বিরুদ্ধে কণ্ঠ তুলে ধরার লক্ষ্য নিয়ে এই সম্মেলনের আয়োজন করেছেন।
শিকাগোর এই সম্মেলনে তুরস্ক থেকে অংশ নেন ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির নারী শাখার প্রধান তুগবা ইশিক এরজান। উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি গাজা ও অন্যান্য মুসলিম নিপীড়িত অঞ্চলে তুরস্কের মানবিক কূটনীতির অবস্থান তুলে ধরেন। তিনি মানবিক সহায়তা করিডোর খোলার উদ্যোগ, আন্তর্জাতিক আইন বাস্তবায়ন ও যুদ্ধবিরতির আহ্বানের কথা উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে তিনি জানান, ইসরাইলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য স্থগিতসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ তুরস্ক গ্রহণ করেছে, যা প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের “ন্যায়ভিত্তিক পররাষ্ট্রনীতি”-র প্রতিফলন।
সূত্র: ডেইলি সাবাহ
এসকে/এসএন