বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খেলতে বাংলাদেশে পাকিস্তানি ক্রিকেটার ইমাদ ওয়াসিম। ঢাকা ক্যাপিটালসের জার্সিতে প্রথম ম্যাচেই দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তার। পুরো দল যখন জয়ের আনন্দে মাতোয়ারা, তখন তিনি দিলেন বিচ্ছেদের ঘোষণা। স্ত্রী সানিয়া আশফাকের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ করেছেন এই অলরাউন্ডার।
গতকাল (রোববার) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইমাদ। তিনি লেখেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে চলা নানা বিরোধ আর সমাধান সম্ভব না হওয়ায় আমি ডিভোর্সের আবেদন করেছি। সবার কাছে আন্তরিক অনুরোধ, আমাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তাকে রক্ষা করুন। পুরোনো কোনো ছবি ব্যবহার বা শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন। দয়া করে ভবিষ্যতে তাকে আমার স্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করবেন না। কোনো বিভ্রান্তিকর বক্তব্য বা গুজবে বিশ্বাস না করতেও সবাইকে অনুরোধ করছি।’
২০১৯ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন পাকিস্তানের বোলিং অলরাউন্ডার ইমাদ ও সানিয়া। ছয় বছরের সংসারে এই দম্পতির ঘরে রয়েছে তিনটি সন্তান। ইমাদের বিচ্ছেদের ঘোষণার পরপর সানিয়াও সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, ‘অনেক দাম্পত্য জীবনের মতো আমাদের সম্পর্কেও জটিলতা ছিল। তবু তা এতদিন টিকে ছিল।’
পরে সানিয়া আরেকটি পোস্টে দাবি করেন, তৃতীয় পক্ষের কারণে তাদের সংসার ভেঙে গিয়েছে। তিনি লেখেন, ‘আমি আমার যন্ত্রণা থেকে লিখছি, আমার সংসার ভেঙে গিয়েছে, আমার সন্তানরা বাবার স্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আমি তিন সন্তানের মা, যার মধ্যে পাঁচ মাস বয়সী একটি শিশু আছে, যাকে তার বাবা এখনো কোলে নেয়নি। এটি এমন একটি গল্প নয়, যা আমি শেয়ার করতে চাইতাম, কিন্তু নীরবতাকে কখনো দুর্বলতা হিসেবে দেখা উচিত নয়।’
ইমাদের প্রাক্তন হওয়া স্ত্রী দাবি করেন, নানা চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও সংসার টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু অন্য কারো হস্তক্ষেপে সম্পর্ক ভেঙে যায়। তার কথা, ‘অনেক বিয়ের মতো আমাদেরও সমস্যা ছিল, তবুও তা চলছিল। আমি স্ত্রী ও মা হিসেবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলাম এবং পরিবারকে রক্ষা করতে আন্তরিক চেষ্টা করেছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই বিয়ে ভেঙে যায় তৃতীয় পক্ষের কারণে, যার উদ্দেশ্য ছিল আমার স্বামীকে বিয়ে করা। এটি ইতোমধ্যেই ধুঁকতে থাকা সম্পর্কের জন্য চূড়ান্ত আঘাত হয়ে এসেছে।’
২০১৫ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের জার্সিতে খেলেছেন ইমাদ। এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার জাতীয় দলের হয়ে ৫৫টি ওয়ানডে ও ৭৫ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। ওয়ানডেতে ৯৮৬ রান করেছেন তিনি ৪৪ উইকেট নিয়ে। টি-টোয়েন্টিতে ৭৩ উইকেট ও ৫৫৪ রান। একবার অবসর নিয়েও তা ভেঙে পাকিস্তান দলে ফিরেছিলেন ইমাদ। ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলেও ছিলেন তিনি। পরে একই বছর ডিসেম্বরে দ্বিতীয়বার তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন।
আরআই/টিএ