শসা আমাদের অতি পরিচিত প্রিয় একটি সবজি। দেশে সহজলভ্য এই সবজিটি দামের দিক থেকেও সাশ্রয়ী। আমরা প্রায়শই বাসে-ট্রেনে শসা কেটে বিক্রি করতে দেখি। তাছাড়া সালাদ তৈরিতেও সবজিটির ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে।
গরমের সময় শরীরকে ঠাণ্ডা ও আদ্র রাখতে শসার জুড়ি মেলা ভার। তাছাড়া আমাদের শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে বা শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে শসা খুবই কার্যকর।
আমরা কাঁচা শসায় নুন মাখিয়ে বা সালাদের সঙ্গে এটি খেতে অভ্যস্ত, তবে এছাড়াও অন্য অনেক উপায়ে শসা খাওয়া যেতে পারে। যেমন শসা দিয়ে তৈরি একটি সুস্বাদু খাবার হলো- শসার রাইতা। এই খাবারটিতে আপনি শসা আর দইয়ের উপকার একসঙ্গে পেতে পারেন।
তাজা কাটা শসা, সবুজ কাঁচা মরিচ, দইসহ অন্যান্য উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে শসার রাইতা তৈরি করা হয়। গ্রীষ্মের মাসগুলিতে শসার রাইতা বেশ জনপ্রিয়, কারণ এটি শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে সহায়তা করে।
ভালো মানের দইয়ে ল্যাক্টোব্যাসিলাস কেসি জাতীয় ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে। এছাড়াও দইয়ে আয়োডিন, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে। শসা ক্যাফিক অ্যাসিড ও ভিটামিন-সি’র একটি ভালো উৎস, যা দেহে জল ধরে রাখতে এবং ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।
শসাতে ক্যালরি প্রায় নেই বললেই চলে এবং প্রচুর পরিমাণে জল থাকে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি লিপিড প্রোফাইল হ্রাস করতে সহায়তা করে। এটি ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধেও কার্যকর।
যারা ওজন হ্রাস করতে চাইছেন তাদের জন্য শসা একটি আদর্শ সুপারফুড। কারণ, এতে কেবল ক্যালোরি কম এমনটা নয়, একইসঙ্গে এতে রয়েছে উচ্চ পরিমাণে ফাইবার। তাই রাইতা খেলে অনেকক্ষণ পেট পরিপূর্ণ মনে হয় এবং এটি বারবার খাওয়ার আকাঙ্ক্ষা রোধ হয়। এতে করে অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণ এড়ানো যেতে পারে।
পানি আর খাদ্য আঁশে পরিপূর্ণ শসার রাইতা কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করতেও সহায়তা করে। শসা যেহেতু ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার ও পটাসিয়ামের একটি প্রাকৃতিক উৎস, তাই এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করবে।
আসুন জেনে নিই, কিভাবে শসার রাইতা বানাতে হবে
শসার রাইতা বানানোর পদ্ধতি
টাইমস/এনজে/জিএস