কর্মস্থলে করোনা ঠেকাতে করণীয়

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সারা বিশ্বে মহামারী আকার ধারণ করছে। একদিকে যেমন সাধারণ মানুষ আক্রান্ত, অন্যদিকে যারা আক্রান্ত রোগীদের সংস্পর্শে আসছেন তারাও সমান হারে আক্রান্ত হচ্ছেন। এই ভাইরাসের সংক্রমণরোধে এরই মধ্যে দেশের বার, রেস্তোরাঁ, ক্লাব, পার্ক, সমুদ্র সৈকত- সবই বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আতঙ্কে বন্ধ হয়ে গেছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বন্ধের আলোচনা চলছে বিভিন্ন গার্মেন্টসসহ শিল্প প্রতিষ্ঠান।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলাকে 'লকডাউন' করা হয়েছে। শনিবার ঢাকাকে লকডাউন করার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এতে আতংকের মাঝেও সরকারি-বেসরকারি বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ ক্ষেত্রে কর্মস্থলে কী প্রস্তুতি নেয়া প্রয়োজন এবং কর্মীদের কী করণীয়, সে বিষয়ে জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে ডব্লিউএইচও।

চলুন জেনে নিই, কর্মস্থলে কীভাবে ঠেকাবেন করোনাভাইরাস

ভাইরাস মোকাবিলায় কর্মস্থল পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যসম্মত রাখা নিশ্চিত করতে বলেছে সংস্থাটি। ব্যবহার সামগ্রি যেমন- (ডেস্ক, টেবিল, টেলিফোন, কিবোর্ড ইত্যাদি) জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কারের পরামর্শ দিয়েছে তারা।

কর্মীরাসহ অফিসে আসা যেকোনো ব্যক্তির জন্য সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। অফিসে পর্যাপ্ত জীবাণুনাশক, হাত ধোয়ার সামগ্রী, মাস্ক ও টিস্যু পেপার রাখতে হবে। হাত ধোয়াসহ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধির পোস্টার লাগিয়ে কর্মীদের সচেতন রাখতে হবে।

জরুরি মুহূর্তে কর্মদিবস কমিয়ে আনতে হবে। খুব জরুরি না হলে অফিসে বৈঠকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান নিয়েও ভাবতে বলেছে তারা। কারণ, এসব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী কোনো ব্যক্তি নিজের অজান্তেই করোনাভাইরাস বয়ে আনতে পারেন।

মুখোমুখি বৈঠক এড়িয়ে টেলিফোন কনফারেন্স বা অনলাইনে তা করা যায় কি না, সেটি বিবেচনা করতে হবে। বৈঠকে উপস্থিত কেউ শুষ্ক কাশি, জ্বর, অসুস্থতা বোধ করলে তার ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

বৈঠকসহ যেকোনো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সবার নাম ও যোগাযোগের ঠিকানা সংরক্ষণ করতে হবে। যাতে বৈঠক বা অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর কেউ আক্রান্ত হলে তার মাধ্যমে ঝুঁকিতে থাকা অন্যদেরও শনাক্ত করতে সুবিধা হবে।

কর্মীদের ভাইরাস সংক্রমিত এলাকা এড়িয়ে চলতে হবে। হাঁচি-কাশি দেয়া ব্যক্তিদের থেকে অন্তত এক মিটার দূরত্ব থাকতে হবে। অফিসে কোনো কর্মীর মধ্যে জ্বর, সর্দি, কাশি থাকলে বাধ্যতামূলক তাকে ছুটিতে পাঠানো উচিত।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on: