করোনার বিষয়ে আগেই জানতেন মাইকেল জ্যাকসন?

মরণঘাতী করোনাভাইরাসে কাঁপছে পুরো বিশ্ব। এই ভাইরাসে এরই মধ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২১ হাজার ২০০ জনে দাঁড়িয়েছে। আর আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে চার লাখেরও বেশি মানুষ। এই ভাইরাসটি উৎপত্তিস্থল চীন ছাড়াও বিশ্বের মোট ১৯৭টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে ইতালি ও স্পেনের শাসন ব্যবস্থা।

তবে সবচেয়ে অবিশ্বাস্য বিষয় হচ্ছে, করোনা আসছে মহামারি আকার নিয়ে। পপ সম্রাট মাইকেল জ্যাকসন নাকি আগাম এই ভবিষ্যৎ বাণী করেছিলেন! এমনটাই জানিয়েছেন প্রয়াত পপ তারকার দেহরক্ষী ম্যাট ঢিড্ডেস।

তিনি আরও জানিয়েছেন, সেই জন্যই মাইকেল সারাক্ষণ নাকি মাস্কে মুখে ঢেকে রাখতেন। বিশ্ব যখন করোনার থাবায় কাঁপছে, ঠিক তখনই এই খবর যথেষ্ট আলোড়ন তুলেছেন পপ তারকার অনুরাগীদের মনে।

দেহরক্ষী আরও জানান, ‘মাইকেল (এমজে) জানতেন, খুব শিগগিরি বিশ্বজুড়ে প্রাকৃতিক বিপর্যয় আসছে। রোগে ধ্বংস হবে মানব সভ্যতা।

ওইসময় পপ তারকা টের পেয়েছিলেন বলেই তিনি সবসময় সাবধানে থাকতেন। নিজের বিমানে যাতায়াত করতেন। মুখ ঢেকে রাখতেন। যাতে তিনি জীবাণু সংক্রমণে না পড়েন। এই কারণেই তিনি নির্দিষ্ট চারটি দেশ ছাড়া আর কোথাও যেতেন না।

অনেকবার ফিড্ডেস নাকি তাকে মাস্ক না পরার অনুরোধও করেছিলেন। তাতে মাইকেল ভীষণ অস্বস্তি বোধ করতেন। বলতেন, আমি অসুস্থ হতে চাই না। আমার অনুরাগীদের হতাশ করতে পারি না। আার গান শোনার জন্য সবাই অপেক্ষা করে থাকেন। ফলে আমাকে যেভাবেই হোক ভালো থাকতেই হবে।

এদিকে ২০০৯-এ সবাইকে ছেড়ে পরপারে চলে যান মাইকেল জ্যাকসন। বেঁচে থাকলে আজ সবাই যা বলছেন, তিনিও সেটাই বলতেন। কারণ, এই কথা তিনি বহু বছর আগে জানিয়ে সাবধান করতে চেয়েছিলেন।

দেহরক্ষীর কথায়, মাইকেলের কথা সেদিন কেউ শোনেননি। কেউ তাকে পাত্তা দিতেন না। সবাই তাকে ব্যঙ্গ করে বলতেন ‘ওয়াকো জ্যাকো। তিনি আপসোস করে বলেন, সেদিন তার কথা গুরুত্ব দিয়ে শুনলে আজ এই দিন দেখতে হত না বিশ্ববাসীকে।

প্রসঙ্গত, শুধু লকডাউন করোনা মহামারি আটকাতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
লকডাউনের পাশাপাশি এ ভাইরাসের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক হতে বলেছে সংস্থাটি। আক্রান্তদের চিকিৎসা ও করোনায় আক্রান্তদের শনাক্ত করার ওপর জোর দিতে বলেছেন সংস্থাটির প্রধান।

 

টাইমস/জেকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
গোপালগঞ্জে বিএনপিতে যোগ দিলেন আ. লীগের ১৭ নেতাকর্মী Dec 27, 2025
img
রাজ চক্রবর্তীর ‘হোক কলরব’ মুক্তির আগেই তৈরি হয়েছে তুমুল বিতর্ক! Dec 27, 2025
img
গুগলের নতুন আপডেটে পরিবর্তনযোগ্য পুরনো ই-মেইল অ্যাড্রেস Dec 27, 2025
img
জামায়াতের সঙ্গে জোটে যাচ্ছে এনসিপি, ঘোষণা রোববার Dec 27, 2025
img
ভুয়া ছবি ও ডিপফেক এখন সাংবাদিকতার বড় চ্যালেঞ্জ : শফিকুল আলম Dec 27, 2025
img
পাগলা মসজিদের ৩৫ বস্তায় মিলল ১১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা Dec 27, 2025
img

জামায়াতের সঙ্গে জোটে আপত্তি

নাহিদ ইসলামকে এনসিপির ৩০ নেতার চিঠি Dec 27, 2025
img
‎পিরোজপুর-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে লড়বেন আলমগীর হোসেন Dec 27, 2025
img
এবার এইচআইভি আক্রান্ত নায়কের চরিত্রে সালমান খান? Dec 27, 2025
img
কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই : সুপ্রদীপ চাকমা Dec 27, 2025
img
এনসিপির আরো ৩ নেত্রীর পোস্ট! Dec 27, 2025
img
ধানমণ্ডির মাহবুব ভবনে প্রাণীদের সঙ্গে সময় কাটালেন তারেক রহমান Dec 27, 2025
img
নিকুঞ্জের বটতলায় শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ Dec 27, 2025
img
ভোটাধিকার নিশ্চিত হলেই রাষ্ট্রের মালিক হবে জনগণ : হাবিব Dec 27, 2025
img
সংকটকালে দেশ রক্ষায় বিএনপির বিকল্প নেই: রবিউল আলম Dec 27, 2025
img
অঙ্কনের ফিফটি ও জাকেরের ক্যামিওতে লড়াইয়ের পুঁজি পেল নোয়াখালী Dec 27, 2025
img
ঢাকায় জনঘনত্ব আরও বাড়ানো আত্মঘাতী পদক্ষেপ : ড. আদিল Dec 27, 2025
img
জানা গেল তাসনিম জারার পদত্যাগ করার কারণ! Dec 27, 2025
img
আর্জেন্টিনায় ভূপৃষ্টে আঘাত হানল ভূমিকম্প Dec 27, 2025
img
মুস্তাফিজের আইপিএলে অংশগ্রহণে মাঠে ভাঙচুরের হুমকি Dec 27, 2025