তেভাগা আন্দোলনের আলোয় গ্রাম ও শহরের বিস্মৃতির দুই ধারা

একটি আখ্যান গড়ে ওঠার সময়ে পারিপার্শ্বিকের অনেকটা প্রভাব থাকে। আখ্যানের ইতিহাস আরম্ভ হয় সেই প্রভাব ও উদ্দীপনার পর্যায় থেকে। বিশেষ করে ভারতীয় সাহিত্যের ক্ষেত্রে, প্রথাগতভাবে সাল-তারিখের গণনার থেকে কোন পরিপার্শ্ব সাহিত্যটির অস্তিত্বকে অনিবার্য করে তুলছে, সেই আলোচনা বেশী প্রাসঙ্গিক। অবিভক্ত বাংলার তেভাগা আন্দোলন সেরকমই একটি ঐতিহাসিক উদ্দীপনার নাম, যা বাংলা সাহিত্যে কৃষি-পরম্পরার কথা তুলে ধরতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। অবিভক্ত বাংলার তেভাগা আন্দোলন (১৯৪৬-১৯৪৯) ভৌগোলিকভাবে গ্রামকেন্দ্রিক। গ্রামের চাষিরা জমিদার, জোতদার, বর্গাদারদের ঘিরে আন্দোলন সংঘটিত করেছিল। কমিউনিস্ট ভাবধারায় সংগঠন-সমিতি গঠন হলেও স্বতঃস্ফূর্ততার প্রধান কারণ ছিল অনেকদিনের জমে থাকা আঞ্চলিক ক্ষোভ।

এই সাংগঠনিক পৃষ্ঠপোষকতার জন্যে ঐতিহাসিকভাবে তেভাগা আন্দোলনেরও একটি নিজস্ব শহুরে অধ্যায় রয়েছে। তাত্ত্বিক প্রভাব ছাড়াও বেশী করে আছে কার্যকরী প্রভাব। গ্রামের নেতাদের হাতে গোটা আন্দোলন পরিচালনার ভার ছিল না। রাজনৈতিকভাবে শহর ও গ্রামের সমন্বয়ের দৃষ্টান্ত তেভাগার ইতিহাসে বারবার দেখা গেছে। সেই ইতিহাসের হাত ধরেই স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলায় ভূমি-সংস্কার শুরু হয়েছিল। আখ্যানে যে ইতিহাস ধরা পড়ে সেখানে এই সমন্বয় কতটা জায়গা পায়? আবার সংসদীয় রাজনীতির পাশে আখ্যানের সাহিত্যিক রাজনীতি কীভাবে নিজের বৈশিষ্ট্য বজায় রাখতে পারে?

ইতিহাসবিদের কাছে তেভাগা একটি ‘ঘটনা’; সাহিত্যিকের ক্ষেত্রে রোজকার যাপনের ধারাভাষ্য এক একটি ঘটনার সামিল। প্রথাগত ইতিহাস ও সাহিত্য একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করলে তেভাগার মতো আন্দোলন দীর্ঘজীবী হতে পারে। কিন্তু অভ্যুত্থান শহরে ঘটুক বা গ্রামে, তার পরবর্তী জীবদ্দশা নাগরিক সমাজ ও ক্ষমতাসীনরা ঠিক করে দেয়। তেভাগার গান নিয়ে, ঐতিহাসিক অবস্থান নিয়ে, নারীর ভূমিকা নিয়ে বিশ্লেষণ ও গবেষণা হয়ে থাকলেও শহর-গ্রামের এই আদান-প্রদানে সে অর্থে জোর দেয়া হয়নি। তাছাড়া বাংলার রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ক্রমশ যখন দেখা গেল তেভাগার কথা জনমানসে ‘ভোট’ পাওয়ার উপযোগী প্রভাব হারিয়ে ফেলছে, তখনই তেভাগার উদ্দীপনা ‘অতীত’ হয়ে গেল।

জমিকে সবচেয়ে বেশী চেনে কৃষকরাই। প্রকৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে তারা নিজেদের প্রক্রিয়া ঠিক করে। খরা হোক, বন্যা হোক, রুজির টানে এক মরসুমের ক্ষতি পরবর্তী বছরে না মেটানো অবধি তাদের নিস্তার নেই। প্রকৃতির প্রতিকূলতার সঙ্গে যদি যুক্ত হয় জমিমালিক-জোতদারদের অত্যাচার তখন সর্বস্ব দিয়েও চাষিরা ফসলের ঘাটতি মেটাতে পারে না। ঊনিশশো তেতাল্লিশের মন্বন্তরের পর চাষিরা আরও সংকটে পড়ে। ব্রিটিশনীতির সমালোচনা করে, পরিসংখ্যান দিয়ে এসময়ের গুরুত্ব বোঝা গেলেও যাদের স্পর্ধাকে সম্বল করে প্রতিরোধ গড়ে উঠল, তাদের ভাষ্য অধরা থেকে যায়। তিস্তাপারের বৃত্তান্তের (১৯৮৮) রচয়িতা দেবেশ রায় লিখেছিলেন- “ভারতবর্ষে যারা কালি-কলম ব্যবহার করতে জানে, আমাদের মতো, তারা জানে না ভারতবর্ষের দরিদ্রতম ছ’সাত কোটির কথা কোন্ অক্ষরে লেখা যায়। তাই অক্ষরবিহীন এই বৃত্তান্ত যত লেখা হবে, ততই মিথ্যা হবে।” তবু এই ‘বৃত্তান্তের’ লিখিত রূপ থাকতেই হয়, নয়তো ঐতিহাসিক সত্য গোঁড়া থেকে বেড়ে ওঠা আখ্যানকে মাথা তুলতে দেবে না।

আন্দোলন ঘিরে পরবর্তীর যাবতীয় রোমান্সও কি তবে শহরকেন্দ্রিক? শহরবাসীকে প্রমাণের লড়াই লড়তে হচ্ছে না। ন্যূনতম মাসিক ভাতার জন্যে সরকারের কাছে তদ্বির করতে করতে গ্রামবাসীর ভাবের ক্ষেত্রটি ভঙ্গুর হয়ে যায়। আজকের নানা টুকরো কৃষি ও ভূমিসংস্কার প্রতিরোধের প্রেক্ষিত বিংশ শতকের এই আন্দোলন থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন নয়। কলকাতা ও শহরতলি থেকে কমিউনিস্ট নেতৃত্বের অবলীলায় গ্রামগর্ভে পৌঁছে যাওয়া তেভাগা আন্দোলনকে দারুণ স্বাতন্ত্র্য দিয়েছিল। আজ সেসব যাতায়াত বন্ধ। সরকারী প্রতিশ্রুতি আর বাঁধিয়ে দেয়া রাস্তার বিপ্রতীপে চাষির গানের সঙ্গে চোখের জলেই হয়তো উজ্জীবনের সামান্য আশা আজও রয়ে যায়।

জমিদার-জোতদারদের পরিবার বেশীরভাগই আজ গ্রাম ছেড়েছে, তাই তাদের প্রতি বৈরিতা আর পুষে নেই চাষিরা। রাষ্ট্র আজ তার নাগরিককে পরিচয়ত্বের নানা মাপকাঠিতে বাঁধতে থাকে, কিন্তু গ্রামবাংলার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা বন্ধ হয় না। তাদের রাজনীতি-সচেতনতার স্বীকৃতি ব্যালটবক্স অবধি। খাঁপুরের আরেক প্রবীণ বিলাপ করেন, “আরেকটু পড়াশুনো যদি শিখতাম।" আত্রেয়ী নদীর একাধিক ধারার মতো তেভাগারও আজ একের বেশী নিবন্ধ তৈরি হয়েছে। কোন্ ধারাটি কালজয়ী হবে তা বলা কঠিন। সাহিত্য আর ইতিহাস মিলে সম্মিলিত একটি ধারাপথ সহজাতভাবে বয়ে চলার সম্ভাবনাকেও মুছে দেয়া যায় না।

১৭৯৩ হোক কী ১৮৫৯, গ্রামবাংলার ভূমিব্যবস্থা নিদারুণ হারে বারবার রাতারাতি বদলাতে থেকেছে। গ্রামের মানুষের রাজনীতি সচেতনতার বেশিরভাগটা সরকারের কৃষি ও ভূমি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে, পাশ হওয়া বিল নিয়ে। গ্রাম ও শহরের দ্বান্দ্বিক প্রকল্পটি সেখানে আলোচ্য নয়। আখ্যান প্রসঙ্গে এমন কথা সহজে বলা যায় না। তেভাগার পরিসংখ্যানের খোঁজ করতে গিয়ে আমি বুঝেছি দলিল-দস্তাবেজে পাওয়া পরিসংখ্যানে অসম্পূর্ণতাই তেভাগার আখ্যানের খোঁজকে আরও প্রাসঙ্গিক করে তোলে।

ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এক বক্তৃতায় বলেছিলেন, “ভারতবর্ষে গ্রাম আর শহরের যে প্রভেদ সে রকম প্রভেদ বিশ্বের খুব কম দেশেই আছে।” শহরের সাপেক্ষে গ্রামের মূল্যায়নেই আমরা বেশী অভ্যস্ত। তেভাগার মতো আন্দোলনের খাতিরে গ্রাম হয়ে ওঠে শহরের প্রেরণা। তাকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়াটাই পরবর্তী সময়ে বেশি প্রয়োজন। বাংলার কৃষি ও ভূমি-সংস্কার আন্দোলনের ইতিহাস দীর্ঘ। ব্যাপ্তির কারণেই হোক অথবা নিজস্বতার বৈশিষ্ট্যে, তেভাগা আন্দোলন এই কৃষি-পরম্পরার এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।

বাংলার কৃষিজীবী মানুষকে অস্বীকার করার ধারা জমিদাররা অনেককাল আগেই আয়ত্ত করে ফেলেছিল। এর প্রতিফলনে তেভাগার মতো দাবি মাথা তোলে। অর্থাৎ উৎপন্ন ফসলের তিনভাগ পাবে কৃষক আর একভাগ পাবে জোতদার। স্বাধীনতা আসার মুহূর্তে, দেশ যখন জাতীয়তাবাদী প্রেরণায় ডুবে আছে, তখন মূলত উত্তরবঙ্গের গ্রামগুলি ‘আধি নয়, তেভাগা চাই’ শ্লোগানে তাদের অধিকার ব্যাপকভাবে জানাতে শুরু করে।

প্রশাসনিক তথ্য ঘেঁটে আর রাষ্ট্রনির্মিত ইতিহাস দিয়ে তেভাগা আন্দোলনের সমস্থানিকতাকে বোঝা যায়। কিন্তু বাংলার গ্রামের যৌথ বাস, চাষ-আবাদ বাদ দিয়েও অন্যান্য জীবিকাবাহী পরিবারগুলি কীভাবে আন্দোলনের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে, অধিকার ছিনিয়ে নেয়ার সেই বয়ানকে ধরার জন্য আমাদের তেভাগাকেন্দ্রিক বাস্তববাদী সাহিত্যের দিকে তাকাতে হবে। একই সঙ্গে ইতিহাসের বিনির্মাণকে ভাষা দিতে তেভাগা-প্রভাবিত বাংলার অঞ্চলে ন্যারেটিভের সূত্র তুলে আনাও বিশেষ প্রয়োজন। বাস্তববাদী সাহিত্য বলতে শুধু বাস্তব ঘটনার সাহিত্যিক প্রক্ষেপণ নয়।

ইতিহাসের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যে বাস্তবতা একটি ‘ঘটনা’-কে তার ভাষ্যের মাধ্যমে বাঁচিয়ে রাখে, আমার গবেষণার প্রায়োগিক পদ্ধতির মূলে রয়েছে সেই বাস্তবতার খোঁজ। কেননা ভৌগোলিক স্থিতি ক্রমাগত বদলে যেতে থাকলে মানুষের যাপনের গতিও বদলে যায়। বদলে যায় তার বাস্তবতার ধারণা। অতীতের সঙ্গে যতই দূরত্ব তৈরি হয়, ততই একক মানুষের শিকড়কে আঁকড়ে থাকার প্রবণতা বাড়ে। মহিষাদল, তমলুক ও পাঁশকুড়া, বালুরঘাট সদর এবং খাঁপুর গ্রাম- এসব অঞ্চলের দীর্ঘদিনের বসবাসকারী স্থানীয়রা তেভাগাকে সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিকতার একটি স্তম্ভ হিসেবে মানেন। কিন্তু সমষ্টি হিসেবে তাদের পূর্বপুরুষেরা যে আদর্শকে লালন করেছিলেন সেই আদর্শের জায়গাটি কোথাও আজ স্তিমিত। তাঁদের বারবার প্রমাণ দিতে হয় ক্ষমতাসীনদের কাছে যে তাঁরা অতীত ঐতিহ্যের অংশীদার।

আবার এমন নিদর্শনও আছে যে শিক্ষিত শ্রেণী ও অশিক্ষিত কৃষক শ্রেণীর পরবর্তী প্রজন্ম অনেকেই তেভাগার তাৎপর্য সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল। ইতিহাসকে তাঁরা আংশিকভাবে জানেন। তথাপি তাঁদের নিজস্ব একটি ইতিহাসের সংস্করণ রয়েছে, তা অসম্পূর্ণ এবং বিক্ষিপ্ত হলেও তাৎপর্যপূর্ণ। সম্পূর্ণ আখ্যানের খোঁজ বিষয়ে এখন তাঁরা অনাগ্রহী। তার মূলগত কারণ হলো- জীবিকাগতভাবে অনেকে আজ চাষবাস থেকে সরে এসেছেন। ফলে তেভাগার প্রতিরোধের ভাষা যে অঞ্চলজুড়ে প্রবলভাবে ছড়িয়েছিল, তার ইতিহাস সেই প্রাবল্যের সঙ্গে ছড়ায়নি।

তেভাগা আন্দোলন সংক্রান্ত সাহিত্যের প্রতি পরতে জড়িয়ে আছে ঐতিহাসিক প্রেক্ষিতের জোরালো আবেদন। আখ্যানকারেরা আবেদনটি অস্বীকার করেননি। নিম্নবিত্ত মানুষের ব্যক্তিগত অনুভূতির সঙ্গে তাই সম্মিলিত ঐক্যের মিশেল পাওয়া যায়। গানে বা পারফরমেন্সে এই ঐক্যের বার্তাটি বুঝে নেয়া সহজ। ফলে তেভাগা বিষয়ক বেশিরভাগ কাজই প্রতিবাদী গান ও মৌখিকতা কেন্দ্রিক। উত্তর দিনাজপুরের বালুরঘাট অঞ্চলে ক্ষেত্রসমীক্ষায় দেখা গেছে, গ্রামের মানুষ ঐতিহাসিক পরিসংখ্যান ও সাল ভুলে গেলেও প্রতিরোধের গান তাদের আজও কণ্ঠস্থ। তেভাগার অন্যতম শহীদ যশোদা রাণী সরকারের ছেলে দেবেন্দ্রনাথ দাস সরকারের মুখে শোনা এ রকমই একট গানের কথা:

কৃষক ভাইরে, কাস্তেটারে দিও জোরে শান,

শান দিও জোরসে দিও, দিও বারে বার,

হুঁশিয়ার ভাই কভু যেন যায় না তাহার ধার,

দস্যু যদি লুটতে আসে কাটবে তাহার জান

কৃষক ভাইরে, কাস্তেটারে দিও জোরে শান। (সংগৃহীত, ৩১শে মে ২০১৮)

কিন্তু এহেন মৌখিকতার অনুশীলন আজ আর বিস্তীর্ণ নেই। সে কারণে অঞ্চলে-অঞ্চলে সমন্বয়ের যে ভারতীয় পরিভাষা গণ-আন্দোলনের সময়ে ছিল, এখনকার ছবিটা তার থেকে অনেকটাই বদলে গেছে। পণ্যের ব্যবহারে, জনসচেতনতার বিজ্ঞাপনে গ্রাম আর শহরের যেটুকু মিল তার সিংহভাগই বাহ্যিক। শহরের আরোপিত জীবনধারার সঙ্গে গ্রামীণ বাংলার মূলগত বিচ্ছিন্নতাকে মুছে ফেলা যায় না। জবরদস্তি অসম্ভবকে সম্ভব করতে গেলে প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষের কাছে শহুরে নাগরিক ‘বিদেশী’ অথবা ‘সাংবাদিক’ হয়েই থেকে যাবে।

 

লেখক: গবেষক, তুলনামূলক সাহিত্যকেন্দ্র, বিশ্বভারতী, শান্তিনিকেতন

Share this news on:

সর্বশেষ

আমি তুষার বলছি - বাংলাদেশকে এখানেই আসতে হবে Sep 16, 2025
এই যে ভণ্ডামি, প্রতারণা কেন করছেন আপনারা? Sep 16, 2025
তরুণদের সক্রিয়তায় সব সমস্যার সমাধান সম্ভব: প্রধান উপদেষ্টা Sep 16, 2025
অর্থ পাচার রোধে যে কঠোর নীতিতে হাঁটছে সরকার Sep 16, 2025
img
নুরের ওপর হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে রাজধানীতে মশাল মিছিল Sep 16, 2025
img

ডিআইজি রেজাউল করিম

যারা ফ্যাসিস্ট তাদের আমরা আইনের আওতায় আনব Sep 16, 2025
img
আর্থিক সুবিধা নেওয়ায় কর কর্মকর্তা মাসুদুর রহমানকে বরখাস্ত Sep 16, 2025
img
পেলেকে ছাড়িয়ে রেকর্ড দামে বিক্রি হলো মেসির রুকি কার্ড Sep 16, 2025
img
জামায়াত আমিরের সঙ্গে শিল্প মালিক প্রতিনিধিদের সৌজন্য সাক্ষাৎ Sep 16, 2025
img
মিয়ানমারে অবৈধভাবে পণ্য পাচারের সময় ১১ জনকে আটক করেছে নৌবাহিনী Sep 16, 2025
img
চবিতে ‘হোস্টেল সংসদ’ নির্বাচনের ঘোষণা Sep 16, 2025
img
সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করল বিএসএফ Sep 16, 2025
img
বিশ্ববাজারে ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম Sep 16, 2025
img
দুই জয়ে ‘বি’ গ্রুপের শীর্ষে শ্রীলঙ্কা, খালি হাতে বিদায় নিল হংকং Sep 16, 2025
img
ভোজ্যতেল আমদানিতে ব্যয় বৃদ্ধি করল এনবিআর Sep 16, 2025
img
ইভ্যালি থেকে বেরিয়ে একই কৌশলে প্রতারণা, নারী গ্রেপ্তার Sep 16, 2025
img
এশিয়া কাপ জিতেনি বাংলাদেশ গুগোল করে নিশ্চিত হলেন ট্রট Sep 16, 2025
img
ড. ইউনূস ব্যর্থ হলে বাংলাদেশের স্বপ্ন বিনষ্ট হবে : রাশেদ খান Sep 16, 2025
img
ডাকসুর ভোট ম্যানুয়ালি গণনার জন্য উমামার লিখিত আবেদন Sep 16, 2025
img

মাসুদ সাঈদী

জনগণের ভালোবাসা অর্জন করুন, তাহলে নির্বাচন বর্জনের দরকার হবে না Sep 16, 2025