বরিশাল ও খুলনায় করোনা ইউনিটে তিনজনের মৃত্যু

বরিশাল ও খুলনায় করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার মধ্যরাত থেকে রোববার সকালের মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়।

এর মধ্যে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই ব্যক্তি মারা গেছেন। অন্যদিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে পর্যবেক্ষণে থাকা ৭০ বছর বয়সী একজন রোগী মারা গেছেন।

বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলের পরিচালক বাকির হোসেন বলেন, শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে ৪০ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়। তিনি জ্বর, সর্দি-কাশি ও বুকে ব্যথায় ভুগছিলেন। রোববার সাড়ে ৭টার দিকে তিনি মারা যান। এই রোগীর অসুস্থতার ধরন দেখে মনে হয়েছে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি পটুয়াখালী সদর উপজেলার বহালগাঠিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

তিনি বলেন, লাশের দাফন ও পরীক্ষার বিষয়ে আইইডিসিআর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। সেখান থেকে যে নির্দেশনা আসবে সেই অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এছাড়া শনিবার রাত ১২টার দিকে এই মেডিকেল হাসপাতালে ৪৫ বছর বয়সী এক নারী মারা গেছেন। বরিশাল শহরের কাউনিয়া পুরানপাড়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন এই নারী।

মেডিকেলের পরিচালক বাকির হোসেন বলেন, এই নারী আগে থেকেই ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপে ভুগছিলেন। কয়েক দিন আগে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বরিশাল সদর হাসপাতালে চার দিন চিকিৎসা নেন। বৃহস্পতিবার তিনি বাড়ি ফিরে যান। শুক্রবার থেকে হালকা কাশি ও শ্বাসকষ্ট শুরু হলে শনিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে তাকে মেডিকেলে আনা হয়। রোগীর স্বজনদের কাছে উপসর্গের ইতিহাস শুনে তাকে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে পাঠানো হচ্ছিল। কিন্তু করোনা ইউনিটে নেওয়ার পথেই তিনি মারা যান। পরে তাকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন মনে করে রাতেই লাশ স্বজনদের দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে খুলনার সিভিল সার্জন সুজাত আহমেদ জানিয়েছেন, নড়াইলের কালিয়া উপজেলার ৭০ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে শনিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। রোববার সকাল সোয়া নয়টার দিকে তিনি মারা যান। মারা যাওয়া ব্যক্তি পুরাতন যক্ষ্মা রোগী। বারবার কাশি হওয়ায় সাবধানতার জন্য করোনা আইসোলেশন ইউনিটে তাকে রাখা হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, বিষয়টি জানিয়ে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সঙ্গে চিকিৎসকেরা যোগাযোগ করেছিলেন। সেখান থেকে জানানো হয়, তার নমুনা পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। সে কারণে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বাজারে আসছে ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারির নতুন আইফোন! Jul 07, 2025
img
ফ্রান্সের তুলুজে বাংলাদেশ দূতাবাসের মোবাইল সেবা কার্যক্রম Jul 07, 2025
img
থালাপতি বিজয়ের ৯ ছবি প্রমাণ করে, তিনিই আসল ‘মাস এন্টারটেইনার’ Jul 07, 2025
img
‘মৌসুমী’ বিভ্রাটে পড়লেন মৌসুমী হামিদ Jul 07, 2025
img
আজ বিকেলে সংবাদ সম্মেলন ডাকলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী Jul 07, 2025
img
নেতার ছেলের অশালীন আচরণ, থানায় গেলেন অভিনেত্রী রাখি সাওয়ান্তের বান্ধবী! Jul 07, 2025
img
রিয়ালের ‘গোলমেশিন’কে দলে নিতে ১০ ক্লাবের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই Jul 07, 2025
img
ইউরোপ নয়, নেপাল-ভুটানেই সীমাবদ্ধ বাংলাদেশ ফুটবল দল Jul 07, 2025
img
জাতীয় নির্বাচন পেছাতে চায় না, সুষ্ঠু পরিবেশ চায় জামায়াত: গোলাম পরওয়ার Jul 07, 2025
img
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল অস্ট্রেলিয়া Jul 07, 2025
img
সরকারের সুচিন্তিত কৌশলের ফলে মূল্যস্ফীতি দ্রুত কমছে : প্রেস সচিব Jul 07, 2025
img
জাতীয় নির্বাচনের সময়কাল নিয়ে কোনো কথা আমরা বলিনি: নাহিদ Jul 07, 2025
img
মাস শেষে ‘উৎসব’-এর টিকিট বিক্রি ছাড়াল ৫ কোটি টাকা! Jul 07, 2025
img
সংরক্ষিত নারী আসনেরও দরকার নেই: পাপিয়া Jul 07, 2025
img
‘এক কথায় দুর্দান্ত’, ‘ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড’ প্রসঙ্গে অস্কারজয়ী অভিনেত্রীর স্বীকারোক্তি Jul 07, 2025
img
রাতে ঢাকায়, সকালে ভুটান- ঋতুপর্ণা ও মনিকার ক্লান্তিহীন যাত্রা Jul 07, 2025
img
অন্তর্বর্তী সরকার ড. ইউনূস সার্কেলের একটা পুনর্বাসন কেন্দ্র : রাশেদ খাঁন Jul 07, 2025
img
এজবাস্টন টেস্টে বাংলাদেশি আম্পায়ারের প্রশংসা করলেন হার্শা ভোগলে Jul 07, 2025
img
সিনেমার স্বার্থে ৮ কেন, ১২ ঘণ্টা কাজ করা যায়- দীপিকাকে খোঁচা রাশমিকার! Jul 07, 2025
img
সংশোধনী প্রস্তাব আনছে ঐকমত্য কমিশন: ড. আলী রীয়াজ Jul 07, 2025