সিনহার সহযোগী শিপ্রার সমালোচনায় ভিপি নুর

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহার সহযোগী স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শিপ্রা দেবনাথের ফেসবুকে প্রকাশিত একটি ভিডিওর সমালোচনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজের ভেরিফাইয়েড ফেসবুক পেইজে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এই সমালোচনা করেন তিনি। এতে শিপ্রা দেবনাথ ও শাহেদুল সিফাতের সমালোচনা করেন নুর।

বাংলাদেশ টাইমস-এর পাঠকদের জন্য ভিপি নুরের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

নুর তার ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‍‌‌‌‌‌“শুভবুদ্ধির উদয় হোক! তোমাদেরকে সেলেব্রিটি বানানোর জন্য আমরা রাজপথে নামিনি, বরগুনায় আমার ভাই-বোনেরা প্রদীপ, লিয়াকতদের উত্তরসূরীদের লাঠিপেটা খায়নি, একজন এসআই চড় খায়নি। নেমেছিলাম সত্য উদঘাটনে। আমাদের মতো প্রতিবাদী মানুষগুলো রাজপথে না নামলে তোমাদেরকে মামলার আসামি হয়েই কারাগারে থাকা লাগতো মাস, বছর, অধিকন্তু হয়রানি।

ভেবেছিলাম তোমরা মুক্ত হলে আমরা সত্য উদঘাটনে যে সংগ্রামে নেমেছি সেটি সহজ হবে। কিন্তু তোমাদের ভূমিকা শুধু আমাকে, আমাদেরকে নয়, পুরো জাতিকেই হতাশ করছে।

তোমাদের পাশে পুরো জাতি ছিলো, তোমরা বুঝলে না! তোমরা চাইলে জাতির কাছে সৎ-সাহসী, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষহীন বীর হিসেবে নিজেদেরকে তুলে ধরে সম্মানিত হতে পারতে। কিন্তু মনে হচ্ছে ওদের ভয়ে তোমরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছো! যা আমাদেরকে সাময়িক পীড়া দিলেও পরবর্তীতে তোমাদের জন্যই বিপদের কারণ হবে।

কারণ ওরা হয়তো এখন ওদের প্রয়োজনে তোমাদেরকে সত্য না বলার জন্য চাপ দিচ্ছে, পাশে থাকবে বলছে, প্রলোভন দেখাচ্ছে। কিন্তু প্রয়োজন শেষে ওরাই তোমাদেরকে বিপদে ফেলবে। তাই সময় থাকতে তোমাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। কারণ, পরবর্তীতে বিপদে পড়লে কাউকে পাশে নাও পেতে পারো।”

এ আগে গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ বাহারছড়া চেকপোস্টে তল্লাশির সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় হত্যা ও মাদক আইনে এবং রামু থানায় মাদক আইনে পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করে। এ মামলায় নিহত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের সঙ্গে থাকা শাহেদুল ইসলাম সিফাত ও শিপ্রা রানী দেবনাথকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। পরে আদালত থেকে জামিনের মুক্তি পান এই দুইজন।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
১৪ জুলাই স্মরণে ‘তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার’ স্লোগানে ফের উত্তাল ঢাবি Jul 15, 2025
img
টাকার বিপরীতে কমল ডলারের দাম Jul 15, 2025
img
বরগুনায় এনসিপির পথসভা, মঞ্চে সারজিসকে দেখে ‘দুলাভাই দুলাভাই’ স্লোগানে মুখর ছাত্র-জনতা Jul 15, 2025
img
'একজন প্লেয়ার হিসেবে সাকিবের বিকল্প নেই' Jul 14, 2025
img
নিজেরা মেঝেতে বসে শহীদদের মা-বাবাকে চেয়ারে বসালেন উপদেষ্টারা! Jul 14, 2025
img
ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা, আটক ২ Jul 14, 2025
img
জার্মান পার্লামেন্টে রংধনু পতাকা উত্তোলন নিষিদ্ধ Jul 14, 2025
img
৫০ ডিগ্রির ভয়াবহ গরমে কাঁপছে আমিরাত Jul 14, 2025
img
উচ্চকক্ষকে দুর্বল করার অপচেষ্টা চলছে: আখতার হোসেন Jul 14, 2025
img
সাগরে নিম্নচাপ: সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সংকেত Jul 14, 2025
img
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্ব সম্প্রদায়েরও বড় দায় আছে : কক্সবাজারে দুই উপদেষ্টা Jul 14, 2025
img
সিআইডি সেজে প্রবাসীর স্বর্ণালংকার লুট, মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণ Jul 14, 2025
img
সালাউদ্দিনকে সরানোর কোনো ভাবনা নেই বিসিবির Jul 14, 2025
img
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে তারা গণতন্ত্রের শত্রু দাবী ফখরুলের Jul 14, 2025
সাকিব অ্যাভেইলেবল ক্রিকেটার, তার সঙ্গে কথা বলা হবে; বিসিবি সভাপতি বুলবুল Jul 14, 2025
img
মিটফোর্ডের ঘটনা নিয়ে ১০টি পরিকল্পিত অপপ্রচার ও তথ্যভিত্তিক বাস্তবতা: তারেক রহমানের উপদেষ্টার স্ট্যাটাস Jul 14, 2025
img
১০ বছরে লিটন নিজের সামর্থ্যের অর্ধেকও দেখাতে পারেনি, দাবি পাইলটের Jul 14, 2025
img
জগন্নাথে প্রার্থনা শেষে প্রদীপ জ্বালিয়ে আরাধনায় মগ্ন শুভশ্রী-ইশা Jul 14, 2025
img
জনতার বাধার মুখে বিরিয়ানি হাউস উদ্বোধন না করেই ফিরে গেলেন প্রিন্স মামুন Jul 14, 2025
img
পোষ্যের অসুস্থতায় ভেঙে পড়েছেন অনামিকা, ভিডিওতে উঠে এল অভিযোগ Jul 14, 2025