উচ্চ মাত্রার আমিষ সমৃদ্ধ খাবার ওজন কমাতে সহায়তা করলেও কোষ্ঠকাঠিন্য, মাথা ব্যথা এবং নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধের কারণ হতে পারে।
আপনি যদি ওজন কমানোর চেষ্টা করেন তবে আমিষ জাতীয় খাবার অপরিহার্য। আমিষকে বলা হয় পেশী, ত্বক, রক্ত, হাড় এবং কার্টিলেজ গঠনের মূল উপাদান। দেহের টিস্যুগুলো মেরামতের পাশাপাশি এনজাইম ও হরমোন তৈরিতে আমিষ ব্যবহৃত হয়। তাই আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে আমিষ জাতীয় খাবার অন্তর্ভুক্ত করা একান্তই কর্তব্য।
প্রাপ্তবয়স্কদের শরীরের ওজন হিসেবে প্রতি কেজিতে ০.৮ গ্রাম আমিষ গ্রহণ করা উচিত। আমিষ ছাড়াও সুষম খাদ্য গ্রহণ প্রতিদিনের আমিষ চাহিদা পূরণে সহায়ক হতে পারে। আমিষের প্রধান উৎসগুলো হলো- ডিম, মসুর, ডাল, মাংস, সয়াবিন, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য, মুরগী, বাদাম, বীজ, সামুদ্রিক খাদ্য ইত্যাদি।
উচ্চমাত্রার আমিষ সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের ঝুঁকি সমূহ:
অধিক পরিমাণে আমিষ জাতীয় খাদ্য গ্রহণ শরীরের উপকারের চেয়ে বেশি অপকারও হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়- বেশিরভাগ লোকজন ওজন কমানোর জন্যে ডায়েটে উচ্চ-প্রোটিন ও কম মাত্রার শর্করাযুক্ত খাদ্য রাখেন। এতে আপনার শরীরে পুষ্টির ঘাটতি ও ফাইবার ঘাটতি দেখা দিতে পারে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া স্বরূপ কোষ্ঠকাঠিন্য, মুখে দুর্গন্ধ এবং মাথা ব্যথা হতে পারে।
উচ্চ-আমিষজাতীয় খাদ্য গ্রহণের সময় আমিষের উৎস সতর্কতার সঙ্গে নির্বাচন করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ- লাল মাংস আমিষের ভালো উৎস হিসাবে বিবেচিত। তবে অতিরিক্ত আমিষ গ্রহণ হৃদপিণ্ড, কিডনি এবং হজমের সমস্যা সৃষ্টির কারণ হতে পারে।
উচ্চ-আমিষ জাতীয় খাদ্য কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির কিডনিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। আমিষ বিপাকের ফলে উৎপন্ন বর্জ্য পদার্থ অপসারণে দেহের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তাহলে কি করবেন?
আপনি যদি আমিষ জাতীয় খাদ্যের পরিমাণ বাড়াতে চান, প্রথমেই নিশ্চিত করুন আপনি ভালো মানের আমিষের উৎস বেছে নিয়েছেন। প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রতিদিনের খাবারে ডিম, বাদাম, বীজ, সয়া প্রোটিন এবং দুগ্ধজাতীয় খাবার খেতে পারেন।
রুটি ও পাস্তা জাতীয় খাবার তৈরির সময় প্রক্রিয়াজাত কার্ব সমূহ ব্যবহার না করার চেষ্টা করুন। প্রচুর পরিমাণে শস্য, ফলমূল এবং শাকসবজি খান। আপনি যদি ওজন কমাতে চান এবং খাবারে আমিষের পরিমাণ বাড়াতে চান, তবে কার্যকর উপায়গুলো হল- প্রত্যেক খাবারের সাথে একটি আমিষজাতীয় খাবার গ্রহণ করুন। এজন্য আপনি সাইড ডিশ হিসাবে ডিম, বাদাম, বীজ এবং পনির রাখতে পারেন।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি
টাইমস/তন্বী/এনজে