আমরা জানি যে ওজন হ্রাসে আমিষ বা প্রোটিন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পরিপূর্ণ রাখে, বিপাকক্রিয়া বাড়িয়ে দেয় এবং পেশী গঠনেও ভূমিকা রাখে।
আমিষের দু’টি সাধারণ উৎস হলো মাছ এবং মুরগি। আমিষের সমৃদ্ধ উৎস হওয়ায় জন্য ওজন হ্রাস করার ক্ষেত্রে মাছ এবং মুরগি দু’টিই সমানভাবে বিবেচিত হয়। মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের দুর্দান্ত উৎস, যা আমাদের খাবারে তৃপ্তি দেয় এবং খাদ্যগ্রহণ কমাতে সহায়তা করে এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের প্রবৃত্তি কম হয়।
প্রোটিন খাবারে তৃপ্তি দেয় এবং ওজন হ্রাসে সহায়তা করে। প্রোটিন গ্রহণের ফলে পেশীর বৃদ্ধি এবং গঠনের ফলে উচ্চ ওজন হ্রাস হয়। কারণ পেশী প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি গ্রহণ করে এবং শরীরের বিপাকীয় হারকে উন্নত করে। উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার গ্রহণের ফলে দেহে চর্বি জমে এবং পেশীগুলো দুর্বল হয়ে যাওয়ার উচ্চতর প্রবণতা সৃষ্টি হয়।
অন্যদিকে লাল মাংসের তুলনায়, মুরগী এবং মাছ উভয়ই কম স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ খাবার। তবে, খাদ্যাভ্যাসে আমিষ গ্রহণের পরিমাণ মোট খাবারের ৪০ থেকে ৫০% এর মধ্যে সীমাবদ্ধ হওয়া উচিত।
দৈনিক প্রোটিনের প্রয়োজনীয়তা
শরীরের ওজন অনুযায়ী প্রতি কেজি ওজনের বিপরীতে গড়ে ০.৮-১ গ্রাম পর্যাপ্ত আমিষ গ্রহণ করা উচিত, যা মহিলাদের জন্য ৪৫ গ্রাম এবং পুরুষদের জন্য ৫৫ গ্রাম প্রোটিন তৈরি করে। বয়স্কদের জন্য এই পরিমাণ প্রতি কেজি ওজনের বিপরীতে ১-১.২ গ্রাম হতে পারে এবং ভারী ব্যায়াম করেন এমন এথলেটদের জন্য শরীরের ওজন অনুযায়ী ২-২.৫ গ্রাম হতে পারে।
শক্তিশালী পেশী তৈরির জন্য নিয়মিত অনুশীলনের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের সংমিশ্রণ প্রয়োজন। ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যাভ্যাসে আমিষের পাশাপাশি সালাদ, ফলমূল, শাকসবজি ইত্যাদি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার আমিষের তিনগুণ পরিমাণে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
প্রস্তাবিত পরিমাণের চেয়ে বেশি মাত্রার বেশি আমিষ গ্রহণ করলে তা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক হতে পারে। কারণ অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরের ওজন বৃদ্ধি ঘটাবে।
মুরগী বা মাছ যাই খান না কেন, তা খুব বেশি মশলাযুক্ত উপায়ে রান্না না করে ভাল করে স্টিম, গ্রিলড বা মেরিনেট করা উচিত এবং কড়া করে ভাজা হওয়া উচিত নয়। মুরগী এবং মাছের সাথে শর্করা জাতীয় খাদ্যগ্রহণ করা উচিত নয়।
ওজন হ্রাস জন্য কম লবণযুক্ত সিদ্ধ মুরগির মাংস এবং মুরগির স্যুপ আদর্শ খাবার। যেহেতু মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড রয়েছে তাই এটি মুরগির তুলনায় বেশি স্বাস্থ্যকর।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি।
টাইমস/এনজে