সেফটি পিনের চেইন বানিয়ে গিনেস বুকে বাংলাদেশের পার্থ

সোনালী রঙের ছোট ছোট সেফটি পিন দিয়ে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ চেইন বানিয়ে গিনেস বুকে নাম লেখালেন বাংলাদেশী পার্থ চন্দ্র দেব। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক গ্রামে তাঁর বাড়ি। তিনি একই গ্রামের মৃত জগদীশ চন্দ্র দেবের ছেলে।

গত ১৭ সেপ্টেম্বর ডাকযোগে গিনেস বিশ্ব রেকর্ডের স্বীকৃতির সনদ তাঁর কাছে এসে পৌঁছায়। এরই মধ্য দিয়ে ২০১৮ সালে রেকর্ড করা ভারতের গুজরাটের হার্শা নান ও নাভা নান নামের দুই ব্যক্তির তৈরি করা রেকর্ড ভাঙেন পার্থ চন্দ্র দেব।

পার্থ চন্দ্র দেব জানান, নিজেদের পারিবারিক ব্যবসা দেখাশোনা ও পড়াশোনার পাশাপাশি তাঁর ভেতরে নতুন কিছু করার তাগিদ ছিল বহুদিনের। সেই ভাবনা থেকেই তিনি সেফটি পিন দিয়ে বিশ্বের সর্ববৃহৎ চেইন বানানোর কাজ শুরু করেন। তার আগে তিনি ইন্টারনেটে ভারতের গুজরাটের দুই সহোদরের গড়া সেফটি পিন দিয়ে চেইন তৈরি রেকর্ডটি দেখেন।

এরপর ২০১৯ সালের ২৩ জুলাই কাজ শুরু করে পার্থ চন্দ্র দেব ১ লাখ ৮৭ হাজার ৮২৩টি সেফটি পিন একটির সঙ্গে আরেকটি জুড়ে চেইন তৈরি করেন। আর এই কাজের জন্য তিনি মাত্র ৪৫ দিনে ২৫১ ঘন্টা ৪২ মিনিট কাজ করেছেন।

পার্থ দেব গণমাধ্যমকে বলেন, কারো সাহায্য ছাড়াই আমি একাই এই দীর্ঘ চেইনটি বানিয়েছি। গিনেস বুকে নাম লেখানোর ইচ্ছা থেকেই আমি এই কাজ শুরু করেছি। কারও সাহায্য ছাড়াই ২ হাজার ৪০১ দশমিক ৮৩ মিটার চেইন আমি নিজেই তৈরি করেছি।

জানা গেছে, গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার প্রথম প্রায় আড়াই কিলোমমিটার দৈর্ঘ্যের সেফটি পিনের চেইনটি এলাকাবাসীর সামনে প্রদর্শন করেন পার্থ চন্দ্র দেব। ওই সময় ফান্দাউক গ্রামের প্রভাষক রাজীব আচার্য্য, পল্লব হালদার এবং সার্ভেয়ার মারজান শাহকে সাথে নিয়ে চেইনটির দৈর্ঘ্য নির্ধারণ করা হয়। সফলভাবে সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ইমেইলে সকল ডাটা গিনেস বুকের ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়। পরে চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টা ১ মিনিট গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে পার্থ চন্দ্র দেবের নাম স্থান পায়।

পার্থ গণমাধ্যমকে জানান, এই ব্যাপারে আমার অনুপ্রেরণা বড় ভাই জয়ন্ত দেব ও বৌদি। আমি আমার এই রেকর্ড আবার ভাঙতে চাই। আমি স্টেপলার পিন দিয়ে এর চেয়েও বড় চেইন বানাতে চাই।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on: