ধর্ষণ নিপীড়ন রোধে আইন সংশোধনের প্রস্তাব উঠছে মন্ত্রিসভায়

সম্প্রতি দেশব্যাপী ঘটে যাওয়া একের পর এক ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিচার নিশ্চিতের দাবির মুখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনের প্রস্তাব উঠছে মন্ত্রিসভায়। আজ সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে।

দেশে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়ন ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। প্রতিদিনই কোনো কোনো ধর্ষণের খবর আসছেই। দুই বছরের শিশু থেকে শুরু করে ৭০ বছরের বৃদ্ধা, কেউই রেহায় পাচ্ছে না মানুষ রুপ নরপিশাচদের বিকৃত যৌন লালসা থেকে।

অপরাধ বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ধর্ষণের সঙ্গে অন্যান্য মারাত্মক অপরাধও সংঘটিত হচ্ছে। আইন করেই কেবল এই মূল্যবোধহীন অপরাধ প্রবণতা ঠেকানো যাবে না। আইনের কঠোর বাস্তবায়ন ছাড়া অপরাধ দমন সম্ভব নয়। বিচারিক প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতা ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত না হওয়ার কারণে মানুষ এখন হতাশ। তাই তারা আন্দোলনে রাস্তায় নেমেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকার ধর্ষণ রুখতে যে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে, ঠিত তার উল্টো পথে হাটছে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কর্মীরা। কারণ ধর্ষণ ও নিপীড়নের ঘটনাগুলোর সঙ্গে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের সরাসরি অংশগ্রহণ অথবা অপরাধীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়ার খবর ছড়িয়ে পড়েছে।

এতে অপরাধীরা বারবার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে। যে কারণে এসব ইস্যূ নিয়ে মানুষের মাঝে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। আর সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ রাজপথে গড়িয়েছে।

গণমানুষের গণদাবি ‘ধর্ষণের অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চাই’। নাগরিকের এই দাবির প্রেক্ষিতেই সরকার আইন সংশোধনের চিন্তা করছে। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে সাকিবের দুবাই ক্যাপিটালস Jul 14, 2025
img
লন্ডনে উড্ডয়নের পরই ভেঙে পড়ল বিমান Jul 14, 2025
img
মাদারীপুরে বজ্রপাতে প্রাণ গেল ১ জনের Jul 14, 2025
img
ফরিদপুরে পাসপোর্ট করতে এসে আটক ৩ রোহিঙ্গা নাগরিক Jul 14, 2025
img
মাছ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শেকৃবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, আহত ৩ Jul 14, 2025
img
গাজীপুরে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় বিএনপি নেতা কারাগারে Jul 14, 2025
img
ঐশ্বরিয়ার গুণের প্রশংসা করেছিলেন শাশুড়ি জয়া বচ্চন Jul 14, 2025
img
দিলজিতের ‘পাঞ্জাব ৯৫’ ছবি ঘিরে নতুন বিতর্ক! Jul 14, 2025
img
আরও ২ দিনের কর্মবিরতি ঘোষণা দিলেন মিটফোর্ডের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা Jul 14, 2025
img
পিএসজিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতল চেলসি Jul 14, 2025
img
ক্যারিয়ার বাঁচাতে অনৈতিক কাজে অভিনেত্রী! গ্রেফতার হয়েছিলেন হোটেল থেকে Jul 14, 2025
img
উইম্বলডনে প্রথমবারের মতো শিরোপার স্বাদ পেলেন সিনার Jul 14, 2025
img
পুলিশের পরিচয় দিয়ে খাদ্য কর্মকর্তাকে অপহরণ, ৫ ঘণ্টা পর উদ্ধার Jul 14, 2025
img
নড়াইলে আওয়ামী লীগের ৩৫ নেতাকর্মী কারাগারে Jul 14, 2025
img
জমে উঠেছে লর্ডস টেস্ট, শেষ দিনে কে হাসবে বিজয়ের হাসি? Jul 14, 2025
img
'খারাপ ব্যাটিং ও বাংলাদেশের দারুণ ফিল্ডিংয়ের কারণে আমরা হেরেছি' Jul 14, 2025
img
তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন নিয়ে বিএনপির নতুন প্রস্তাব Jul 14, 2025
img
ভারতের বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হচ্ছিল কি না, জানালেন শেহবাজ Jul 14, 2025
img
বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতি আগের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে: বিশ্বব্যাংক Jul 14, 2025
img
আমি সবসময় ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করি: শামীম Jul 14, 2025