প্রযুক্তির কল্যাণে রূপচর্চার প্রয়োজনে বাজারে নিত্য নতুন পণ্য সামগ্রীর অভাব নেই। ত্বকের যেকোনো সমস্যা সমাধানে হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় হরেক রকম প্রসাধনী। তবে এত শত পণ্যের ভিড়েও এখনো প্রাকৃতিক সমাধান বেছে নিতে চান অনেকে।
ত্বকের যত্নে ব্যবহৃত কিছু প্রাকৃতিক উপাদান সম্পর্কে এখানে আলোচনা করা হলো, যা ব্যবহার করা বিজ্ঞান সম্মত।
নারিকেল তেল
ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে ও প্রদাহ কমাতে নারিকেল তেলের ব্যবহার অত্যন্ত কার্যকর। এছাড়াও একজিমা সমস্যা সমাধানেও তেলটির ব্যবহার রয়েছে।
এ বিষয়ে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ এমডি. লরেল নেভারসেন জেরেথি বলেন, “অনেকে শুষ্ক ত্বক, চুলকানি, একজিমা ও সোরিয়াসিস রোগের জন্য নারিকেল তেল ব্যবহার করে উপকৃত হয়েছেন।”
থানকুনি পাতা
ত্বকের ক্ষত নিরাময়ে থানকুনি পাতা দীর্ঘদিন ধরে এশিয়ার দেশগুলোতে ব্যবহৃত হয়। প্রসাধনী রসায়নবিদ মিশেল অং বলেন, “উদ্ভিদটিতে বিদ্যমান রাসায়নিক পদার্থ সমূহের প্রতিক্রিয়ায় ক্ষতস্থানে রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি পায় এবং স্থানটির দৃঢ়তা বৃদ্ধি পায়। অ্যামিনো এসিড, ফ্যাটি এসিড, বেটা ক্যারোটিন এবং হাইটোক্যামিক্যাল সমূহের সমন্বিত প্রভাবে দ্রুত ক্ষত সেরে ওঠে।”
গ্রিন টি
ত্বকের যত্নে গ্রিন টি’র উপকারিতার কথা কম বেশি সবাই জানেন। এটি রোদে পোড়া এবং বয়সের ছাপ দূর করতে সহায়তা করে।
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ জেনি ডাউনি’র মতে, “এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং শীতলীকরণ ক্ষমতা রোদে পোড়া উপশমে সহায়তা করে এবং এর ফরে সৃষ্ট দাগ দূর করতেও সক্ষম।”
চা গাছের তেল
চা গাছ থেকে এক ধরণের বিশেষ তেল উৎপন্ন হয় যা ‘টি ট্রি ওয়েল’ হিসেবে পরিচিত। জীবাণুমুক্ত করতে এবং প্রদাহনাশক হিসেবে এই তেলটি ত্বক ভাল কাজ করে।
জেরেথির মতে, এতে থাকা অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন জীবাণু, ফাঙ্গাস এবং ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ থেকে ত্বককে সুরক্ষা প্রদানে সক্ষম। এটি ব্রণের জন্য দায়ী জীবাণুর বিরুদ্ধেও বেশ কার্যকর।”
তবে চা গাছের তেল ব্যবহারে অনেকের চুলকানি বা জ্বলুনি হতে পারে।
তথ্যসূত্র: ওয়েবএমডি
টাইমস/এনজে