সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে বিভিন্ন খাদ্য উপাদানের পাশাপাশি আমাদের দেহে বেশ কিছু খনিজেরও প্রয়োজন হয়। এমনই একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান ‘জিঙ্ক ‘। এটি মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে সহায়তা করে। বিপাক প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে।
এছাড়াও এটি ক্ষত নিরাময়ে সহায়তা করে, ত্বকের জন্য উপকারী এবং প্রদাহনাশক হিসেবেও কাজ করে। খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণ জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার না থাকলে বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এর ঘাটতি হলে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
জিঙ্কের ঘাটতি খুব সাধারণ একটি ঘটনা হলেও অনেকেই তা বুঝে উঠতে পারেন না। আবার দেহে জিঙ্কের তীব্র ঘাটতি দেখা দিলে তা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকির কারণ হতে উঠতে পারে। শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি দেখা দিলে বেশকিছু লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দেয়। এই লক্ষণগুলো জানা থাকলে খুব সহজেই এ সমস্যাটি চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।
দেহে জিঙ্কের ঘাটতি দেখা দিলে যে সব উপসর্গ দেখা দেয়-
দেহের ক্ষত নিরাময়ে স্বাভাবিকের থেকে বেশি সময় লাগে,
ওজন কমে যেতে পারে,
গন্ধ এবং স্বাদ অনুভূতি হ্রাস পায়,
ক্ষুধামন্দা দেখা দিতে পারে,
ঘন ঘন ডায়রিয়া,
ত্বকে ঘা হতে পারে,
অতিরিক্ত চুল পড়া, এবং
দুর্বলতা ও ক্লান্তি দেখা দেয়।
একজন ব্যক্তির দৈনিক কতটুকু জিঙ্ক প্রয়োজন?
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হেলথ ইন্সটিটিউট অনুসারে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের জন্য প্রতিদিন ১১ মিলিগ্রাম জিংক প্রয়োজন হয়। অন্যদিকে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলার প্রতিদিন জিংক প্রয়োজন হয় ৮-৯ মিলিগ্রাম।
তবে গর্ভাবস্থায় মহিলাদের প্রতিদিন ১১ মিলিগ্রাম জিংক গ্রহণ করা উচিত। স্তন্যদানের সময় মায়েদেরকে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ১২ মিলিগ্রাম জিংক রাখতে হবে।
যে সকল খাবারে এই খনিজ উপাদানটি পাওয়া যায়-
বেশ কয়েকটি খাবারে জিঙ্কের উপস্থিত রয়েছে। এর সমৃদ্ধ উৎসসমূহের মধ্যে রয়েছে মাংস, শিম, পালংশাক, বীজ (মিষ্টি কুমড়ার বীজ বা এ জাতীয় বীজ), বাদাম, ডিম, দানাদার শস্য, দুগ্ধ জাতীয় খাবার, ডার্ক চকোলেট, আলু প্রভৃতি। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি
টাইমস/এনজে/এসএন