সবার সমান অধিকার রক্ষা করা সরকারের লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ধর্ম, বর্ণ, জাতি, গোষ্ঠী নির্বিশেষে এদেশে সকলের সমান অধিকার থাকবে। আমরা সেটাই নিশ্চিত করতে চাই এবং সেটাই আমরা নিশ্চিত করব। সবার সমান অধিকার রক্ষা করা সরকারের লক্ষ্য। সেদিকে আমরা দৃষ্টি দিচ্ছি।

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ‘বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তা’ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় উচ্চশিক্ষায় অধ্যয়নরত ৫০০ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তিপ্রদান করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। এখানে কাউকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বা অবহেলিত ভাবলে চলবে না। সবাইকে ভাবতে হবে- সবাই এ দেশের নাগরিক এবং প্রত্যেক নাগরিকের সমান অধিকার আছে।

তিনি বলেন, শিক্ষা-দীক্ষায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য আমাদের সব জনগোষ্ঠী যেন সমান সুযোগ পায়, কেউ যেন অহেলিত না থাকে। কেউ যেন দূরে পড়ে না থাকে, সেটিই আমাদের লক্ষ্য।

শেখ হাসিনা বলেন, সারা বাংলাদেশের সর্বশ্রেণির মানুষের উন্নয়ন আমরা চাই। এখানে বেদে, হিজড়া, চা শ্রমিক, দলিত শ্রেণি- সকলেরই ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ২০ জন শিক্ষার্থী তাদের নিজস্ব সংস্কৃতির পোশাক পরে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে শিক্ষাবৃত্তির চেক নেন। এজন্য প্রধানমন্ত্রী তাদের প্রশংসা করে বলেন, আমার খুব ভালো লাগলো আমাদের ছেলেমেয়েরা, যারা আমার কাছ থেকে বৃত্তির চেক বুঝে নিল, তারা প্রত্যেকে নিজ নিজ পোশাক পরিধান করে যে সুন্দরভাবে এসেছে, খুবই সুন্দর লেগেছে। ভালো লেগেছে।

তিনি বলেন, আমি এটিই চাই- শিক্ষা-দীক্ষা নিয়ে সবাই রাষ্ট্রপরিচালনায় আসবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের মেধা বিকাশের সুযোগ পাবে।

অনুষ্ঠানে ৫০০ জন শিক্ষার্থীকে ২৫ হাজার টাকা করে এক কোটি ২৫ লাখ টাকার বৃত্তির চেক দেওয়া হয়। চলতি অর্থবছরে ২০০০ জন শিক্ষার্থীকে আরও পাঁচ কোটি টাকা বৃত্তি দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. খলিলুর রহমান প্রমুখ।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ঋতুপর্ণার জোড়া গোল, জয়ের আরও কাছে বাংলাদেশ Jul 02, 2025
img
‘হাতপাখার সমাবেশ’ বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রমাণ : ফারুক Jul 02, 2025
img
চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনায় নৌবাহিনীর সঙ্গে চুক্তির পরিকল্পনা Jul 02, 2025
img
প্রাক্তনকে ভুলে এবার বীরের সঙ্গে নতুন অধ্যায় শুরু তারা সুতারিয়ার Jul 02, 2025
img
শেফালির মৃত্যুর পরও ৭৭ বছর বয়সেও ফিলারে ভরসা মুমতাজের Jul 02, 2025
img
নতুন মামলায় গ্রেফতার আনিসুল-সালমান-দীপু মনি Jul 02, 2025
img
ইভিএম ক্রয়ে অনিয়ম: ইসির সাবেক তিন কর্মকর্তাকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ Jul 02, 2025
img
আমি ফাতিমার বাবা নই, না বয়ফ্রেন্ড : আমির খান Jul 02, 2025
img
কুশল মেন্ডিসকে ফেরালেন অভিষিক্ত তানভীর Jul 02, 2025
img
গণমাধ্যমের নৈতিক মানদণ্ড রক্ষায় জাতিসংঘকে সহায়তার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার Jul 02, 2025
img
পদ্মার এক বাঘাইড় বিক্রি সাড়ে ৪৩ হাজার টাকায় Jul 02, 2025
img
ফের পেছাল বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রতিবেদন Jul 02, 2025
img
আল্লু অর্জুনই এখন ভারতের 'ম্যাস আইকন': মধুর ভান্ডারকর Jul 02, 2025
img
ডেঙ্গুতে একদিনে মৃত্যু আরও ১ জনের, হাসপাতালে ৪১৬ Jul 02, 2025
img
কক্সবাজারের সাবেক সাংসদ জাফর আরও তিন দিনের রিমান্ডে Jul 02, 2025
img
ভুলে গেলে চলবে না, এটা বীর চট্টলা : রাফি Jul 02, 2025
img
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এক ম্যাচ জিতলেই যে সুখবর পাবে বাংলাদেশ Jul 02, 2025
img
রাজধানীতে ডিএনসিসির মশক নিধন অভিযান শুরু Jul 02, 2025
img
সোমালিয়ায় বিমানবন্দরে সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত Jul 02, 2025
img
১৮ মিনিটেই মিয়ানমারের জালে বল, ১-০ তে এগিয়ে বাংলাদেশ Jul 02, 2025