শিশুদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর প্লাস্টিকে থাকা ‘থ্যালেট’

‘থ্যালেট’ নামক সিনথেটিক কেমিক্যাল শিশুদের মস্তিষ্কের গঠন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তাই অতিসত্তর কেমিক্যালটির বাণিজ্যিক ব্যবহার বন্ধ করা উচিত বলে মতপ্রকাশ করেছেন ‘প্রোজেক্ট টেন্ডার’ এর সাথে যুক্ত একদল বিজ্ঞানী ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ।

প্রজেক্ট টেন্ডার মূলত মস্তিষ্ক গঠনের জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে এমন বিষয় নিয়ে গবেষণা করে। এখানে একদল বিজ্ঞানী ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ শিশুদের জন্য ক্ষতিকর নিউরোটোক্সিক কেমিক্যাল ও পরিবেশ দূষণ নিয়ে কাজ করছেন।

গবেষণাপত্রের মূখ্য গবেষক স্টিফ্যানি এঞ্জেল এ বিষয়ে বলেন, “আমাদের হাতে যথেষ্ট প্রমাণ আছে, শিশুদের মনোযোগ, শেখা এবং আচরণকে এই কেমিক্যালটি যেভাবে প্রভাবিত করে তা নিয়ে আশঙ্কার কারণ রয়েছে।”

এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ইনভাইরনমেন্টাল হেলথ সাইন্সেস এর সাবেক পরিচালক লিন্ডা বির্নবার্ম জানান, “আমি মনে করি এই গবেষণাপত্রটি আমাদের জাগিয়ে তুলবে। বুঝতে সহায়তা করবে যে অল্প বয়সে এই ধরণের কেমিক্যালের সংস্পর্শে এসে আমাদের সন্তানেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”

গবেষকরা বলছেন, আমাদের পরিবেশের প্রায় সর্বত্রই এ কেমিক্যালটি ছড়িয়ে পড়েছে। কারণ থ্যালেটের ব্যবহার অত্যন্ত বেড়ে গেছে। সাধারণত প্লাস্টিক নমনীয় করতে এই উপাদানটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

গবেষণায় দেখা গেছে বর্তমানে প্রায় সর্বক্ষেত্রেই এই কেমিক্যালটির অস্তিত্ব রয়েছে। খাবার প্যাকেজিং, কাপড়, আসবাবপত্র, শ্যাম্পু, সাবান, হেয়ার স্প্রে, নেইল পালিশ, বডি স্প্রে সহ অনেক ধরণের বানিজ্যিক পণ্যেই এই কেমিক্যালটি ব্যবহার করা হচ্ছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, শিশুদের অতিরিক্ত ওজন, অ্যাজমা, ক্যান্সার, হৃদরোগ প্রভৃতি জটিল স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায় এই কেমিক্যাল। এছাড়াও প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষদের জন্য এটি টেস্টোস্টেরোন নিঃসরণ কমে যাওয়ার কারণ হতে পারে। কমে যেতে পারে শুক্রাণু গণনাও।

তাই দ্বায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষকে এই ক্ষতিকর ক্যামিক্যাল ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে অতিস্বত্তর উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে গবেষক দলটি। গবেষণাপত্রটি গত বৃহস্পতিবার আমেরিকান জার্নাল অব পাবলিক হেলথে প্রকাশিত হয়েছে। তথ্যসূত্র: সিএনএন

 

টাইমস/এনজে/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আমি অন্য কারও মতো হতে চাই না: শ্রেয়া ঘোষাল Nov 15, 2025
img
‘সরকার পতনের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত ছিল না’, সিএনএন-নিউজ এইটিনকে হাসিনা Nov 15, 2025
img
একটি দল ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে : জসিম উদ্দিন Nov 15, 2025
img
শুরু হলো ফারিণের জীবনের নতুন অধ্যায়! Nov 15, 2025
img
জীবনটাই এক ধরণের ‘ছেড়ে দেওয়ার’ অনুশীলন: ইরফান খান Nov 15, 2025
img
ইতিহাস বিকৃতি এই দেশের মানুষ কখনো মেনে নেবে না : সোহেল তাজ Nov 15, 2025
img
রাজনীতিতে স্বচ্ছতা না থাকলে নানা সংশয় তৈরি হয়: জিল্লুর রহমান Nov 15, 2025
img
পরিবার শুধু রক্তের সম্পর্ক নয়: সিদ্ধার্থ মালহোত্রা Nov 15, 2025
img
ভালোবাসার আসল রূপ ছোট ছোট যত্নের মধ্যে: আনুশকা শর্মা Nov 15, 2025
img
ধানমণ্ডিতে মারধরের শিকার সেই নারী গ্রেপ্তার Nov 15, 2025
img
বিহার জয়ের পর এবার পশ্চিমবঙ্গ দখলের ইঙ্গিত মোদীর Nov 15, 2025
img
জীবনের ১ম নায়িকা মা: বোমান ইরানি Nov 15, 2025
img
১৬ বছর পর রাজস্থান রয়্যালসে জাদেজা Nov 15, 2025
img
শেষ পর্যন্ত ১ম টেস্ট থেকে ছিটকে গেলেন জশ হ্যাজলউড Nov 15, 2025
img
বাংলাদেশে বেড়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারের স্বাধীনতা : ফ্রিডম হাউসের প্রতিবেদন Nov 15, 2025
img
আবার বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের উৎপাদন বাড়তে পারে Nov 15, 2025
img
মন্টি আপুর সাথে সম্পর্ক নিয়ে তো প্রশ্ন উঠে না, জাহানারার উদ্দেশে জ্যোতি Nov 15, 2025
img
নির্বাচনী ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে: নিয়াজ খান Nov 15, 2025
img
সাভারে যুবলীগের ২ নেতা আটক Nov 15, 2025
img
হোয়াটসঅ্যাপে আসছে থার্ড-পার্টি চ্যাট সুবিধা Nov 15, 2025