মেডিকেলে চান্স মেলেনি, মাইক্রোসফট হ্যাক করে ট্যালেন্ট দেখালেন!

মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় ফেল করেছিলেন অদিতি। এজন্য কম কথা শুনতে হয়নি তাকে। এবার মাইক্রোসফট হ্যাক করে নিজের ট্যালেন্ট দেখালেন তিনি। শুধু তাই নয় মাইক্রোসফট হ্যাক করে তাদের ভুল ধরিয়ে পুরষ্কার জিতে নিয়েছেন অদিতি। একটি ক্লাউড সিস্টেমের ভুল ধরিয়ে দিয়ে টেক জায়ান্ট ওই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ২২ লাখ রুপি পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

জানা গেছে, এথিক্যাল হ্যাকার আর স্বশিক্ষিত সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষক ভারতীয় তরুণী অদিতি মাইক্রোসফটের তৈরি করা নতুন অ্যাজিউর ক্লাউড সিস্টেমের ত্রুটি শনাক্ত করেন। এরপর মাইক্রোসফটকে তা জানান অদিতি। মাইক্রোসফটের তরফ থেকে অদিতির শনাক্ত করা ত্রুটিগুলো পুনরায় চেক করা হয়। ওই সিস্টেমের অরক্ষিত ভার্সন কেউ ডাউনলোড করেছে কী না দেখতে সঙ্গে সঙ্গে ত্রুটি শুধরে নেয়নি মাইক্রোসফট। পরে সেটা শুধরে নেয় মাইক্রোসফট। আর ত্রুটি ধরিয়ে দেওয়ার জন্য অদিতিকে পুরস্কার হিসেবে ৩০ হাজার ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ২২ লাখ রুপি) দেয় টেক জায়ান্ট এই প্রতিষ্ঠানটি।

জানা গেছে, দিল্লিতে বেড়ে ওঠা অদিতির হ্যাকিংয়ের জগতে হাতেখড়ি দু’বছর আগে প্রতিবেশীর ওয়াই-ফাই পাসওয়ার্ড হ্যাক করে। সেই সময় মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাননি তিনি। তবে আস্তে আস্তে হ্যাকিংয়ের প্রতি ভালোবাসা জন্মে যায় তার। নাম লেখান এথিক্যাল হ্যাকিংয়ে। যেসব হ্যাকার কম্পিউটার সিস্টেম হ্যাক করে কারো কোনো ক্ষতি করে না তাদের বলা হয় এথিক্যাল হ্যাকার।

ফেসবুক,মাইক্রোসফট ছাড়াও টিকটক, মজিলা, পেটিএম, এইচপি-র মতো প্রায় ৪০টি প্রতিষ্ঠানের বাগ ধরে দিয়েছিলেন অদিতি। টিকটক অ্যাপে ফরগট পাসওয়ার্ড সিস্টেমে ওটিপি সংক্রান্ত একটি বাগ ধরার পর থেকেই তিনি এথিক্যাল হ্যাকিংয়ে আরও বেশি করে ঝুঁকে পড়েন। এসব কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ মাত্র ২০ বছর বয়সেই হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রশংসাপত্র পেয়েছেন অদিতি। ফেসবুকেরও কিছু ত্রুটি শনাক্ত করে সাড়ে ৭ হাজার ডলার পুরস্কার পেয়েছিলেন অদিতি। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ছিল প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ রুপি।

 

টাইমস/জেকে

Share this news on: