ভোজ্যতেলে ভ্যাট ছাড়ের সুবিধা আরও ৬ মাস বৃদ্ধির সুপারিশ

ভোজ্যতেলের দাম কম রাখতে আমদানি ও পরিশোধনের ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) অব্যাহতির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়াতে সুপারিশ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের অস্থির মূল্য পরিস্থিতির প্রভাব রুখতে বর্তমানে অপরিশোধিত সয়াবিন ও পরিশোধিত/অপরিশোধিত পাম অয়েলের আমদানিতে শুধু ৫ শতাংশ বহাল রেখে সমুদয় অন্যান্য ভ্যাট প্রত্যাহার করেছে এনবিআর। এই ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ আগামী ৩১ ডিসেম্বরই শেষ হচ্ছে।

আগে অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম অয়েলের আমদানি পর্যায়ে বর্তমানে ১৫ শতাংশ ভ্যাট ছাড়াও ৫ শতাংশ অগ্রিম কর দিতে হতো। এছাড়া উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়েও মূল্য সংযোজনের ওপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট ধার্য ছিল।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ জানিয়েছে, বর্তমানে বাজারে খোলা সয়াবিন প্রতি লিটার ১৭২ টাকা। আর পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৯২৫ টাকা থেকে ১৯ টাকা কমিয়ে করা হয়েছে ৯০৬ টাকা। খোলা পাম সুপার তেল লিটারপ্রতি চার টাকা কমে ১২১ টাকা থেকে হয়েছে ১১৭ টাকা।

অন্যদিকে, আগামী মার্চে শুরু হচ্ছে পবিত্র রোজা। এ সময়ে ভোজ্যতেলের মূল্য ও সরবরাহ দুটিই স্থিতিশীল রাখতে ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ অন্তত ৬ মাস বাড়ানো জরুরি মনে করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

এ লক্ষ্যে গত ১৪ ডিসেম্বর এনবিআরে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম নিয়ন্ত্রক মোছা. শামীমা আকতার স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের ৪ অক্টোবর ও ১৬ মার্চ জারিকৃত দুটি এসআরও এর মেয়াদ ফের বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়। এতে ভোজ্যতেলে ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ আগামী ১ জানুয়ারি ২০২৩ থেকে ৩০ জুন ২০২৩ পর্যন্ত ৬ মাস বাড়ানোর সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব করা হয়েছে।

Share this news on:

সর্বশেষ