প্রচণ্ড ক্ষুধায়ও এড়িয়ে চলবেন যেসব খাবার

কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য বলেছিলেন- ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি। প্রচণ্ড ক্ষুধার যন্ত্রণায় আমরা যেন কবি সুকান্তের সেই কথাকে সত্যি প্রমাণ করতে উঠে-পড়ে লাগি। তীব্র ক্ষুধার জ্বালায় আমরা হাতের কাছে যাই পাই, দ্বিতীয় কোনো ভাবনা ছাড়াই সেসব খেয়ে ফেলি।

অবশ্য এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। ক্ষুধার যন্ত্রণায় যখন মাথা কাজ করা বন্ধ করে দেয়, তখন অনেকেরই খাবার নিয়ে এত বাছবিচার করার অবস্থা থাকে না। তবে এতে ক্ষুধা নিবারণ হলেও খাবারগুলো আমাদের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে।

শুনতে অবাক লাগলেও প্রচণ্ড ক্ষুধায়ও কিছু খাবার খাওয়া অনুচিত। চলুন জেনে নিই সেগুলো কী কী-

ঝালজাতীয় খাবার

কাজের ব্যস্ততার জন্য অনেকেই দুপুরের মধ্যাহ্ণভোজ সময়মতো সম্পন্ন করতে পারেন না। সেক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে আমরা অনেকেই হাতের কাছে থাকা খাবারই খেয়ে নিই। এক্ষেত্রে অনেকের প্রথম পছন্দ ঝালজাতীয় খাবার। কিন্তু এটি করা একদম অনুচিত। খালি পেটে যেকোনো ঝালজাতীয় খাবার পাকস্থলীর ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। তাছাড়া, ঝালজাতীয় খাবার হজমের সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে।

ফল

ওজন কমানোর ডায়েট হিসেবে হোক কিংবা ভারি খাবারের বিকল্প হিসেবে আমরা অনেকেই ফল বেছে নিই। কিন্তু খালি পেটে ফল খাওয়া উচিত না। তবে ফলের সঙ্গে একটু বাদাম কিংবা পনির খেলে ক্ষতির কিছু নেই।

বিস্কুট বা চিপস

খালি পেটে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত না। কিন্তু বিকল্প হিসেবে ২৫০-৩০০ ক্যালরির একটি স্যান্ডউইচ খেতে পারেন। এতে আপনার পেট অনেকটা সময়ের জন্য ভরা থাকবে।

কমলালেবু, কফি বা সস

খালি পেটে কমলালেবু বা সস খেলে অথবা কফি পান করলে অম্লতা (অ্যাসিডিটি) হতে পারে। তাই খালি পেটে তীব্র ক্ষুধায় এসব খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে। যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে, তাদের খালি পেটে চা এবং কফি পান করা ক্ষতিকর।

Share this news on:

সর্বশেষ