রমজনের দ্বিতীয় সপ্তাহ শেষে ব্রয়লার মুরগির দাম কমলেও বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সোনালি মুরগি। সেই সঙ্গে বেড়েছে সবজি ও আলুর দাম; তবে অপরিবর্তিত আছে অন্য সব পণ্যের দাম।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার ঘুরে এসব চিত্র পাওয়া গেছে।
এদিন বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম কমলেও, বেড়েছে সোনালি মুরগির। আর আগের দামে বিক্রি হচ্ছে লেয়ার মুরগি। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ২২০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা। যা গত সপ্তাহে কেজি ছিল ৩২০-৩৩০ টাকা। আর লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা।
মুরগি বিক্রেতা মো. রুবেল বলেন, বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম কমলেও বেড়েছে সোনালি মুরগির দাম। সরকার থেকে খামারিদের চাপ দেওয়ার দাম কমেছে ব্রয়লারের। তবে বেড়েছে সোনালি মুরগির দাদা। ২০ রমজানের পরে মুরগির দাম বাড়ার সম্ভাবনা আছে।
এদিকে বাজারে গরুর মাংস বাড়তি দাম ৭৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০৫০-১১০০ টাকায়।
ব্রয়লার মুরগুর পাশাপাশি কমেছে ফার্মের মুরগির ডিমের দামও। ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগে ফার্মের মুরগির ডজন ছিল ১৪০ টাকা। তবে, হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা আর দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২১০-২২০ টাকা।
অপরদিকে সবজির দাম বেড়েছে। শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, লম্বা ও গোল বেগুনের কেজি ৮০ টাকা, টমেটো ৪০-৬০ টাকা, শিম ৮০ টাকা, এবং করলা ২০০ টাকা।
আকার ভেদে লাউ প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। চাল কুমড়া ৫০-৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০, পটল ৮০, ঢেঁড়স ৮০, কচুর লতি ১০০, পেঁপে ৩০-৪০, বরবটি ৮০ ও ধুন্দুল ৮০ টাকা। কাঁচামরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। গাজরের ৬০ টাকা এবং মুলা ৬০ টাকা।
বিক্রেতা মো.আল-আমিন বলেন, বাজারে সরবরাহ কম থাকায় তাজা সবজির দাম বেড়েছে। রোজায় সবজি কম খাওয়া হলেও ক্রেতারা তাজা সবজি চায়।
এছাড়া বাজারে কাঁচা কলা এবং লেবুর র হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা দরে।
এসব বাজারে পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। বড় রশুনের কেজি ১২০ টাকা। ছোট রসুনের (দেশি) কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা। আর আদার কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়।
বেড়েছে আলুর দাম, প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ২০ থেকে ২৫ টাকা।
এছাড়া খোলা চিনি প্রতি কেজি ১২০ টাকা। খোলা আটার কেজি ৬০ টাকা। প্যাকেট আটা প্রতি কেজি ৬৫ টাকা এবং ২ কেজির প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।
এসব বাজারে দেশি মসুরের ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ১২০-১২৫ টাকা।
সয়াবিন তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৮৭ টাকা। লবনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা।
পল্লবী এলাকার বাসিন্দা রাজীয়া সুলতানা বলেন, এই সপ্তাহে নিত্য পণ্যের দাম তেমন বাড়েনি। যদিও আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব পণ্য। বর্তমান বাজারে সাধারণ মানুষের খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকাই অনেক কঠিন। কী হবে গরীব মানুষগুলার?