বৈশাখের হাসফাঁস গরমে খোলা আকাশের নিচে ঘুমাচ্ছেন ৬৫ বছরের বৃদ্ধা সালেহা বেগম। দিনের বেলায় ভিক্ষে করে কাটে সময় রাতে ঘুমান ফুটপাতে। রমজান মাসে কখনো খেয়ে আবার কখনো না খেয়েই রাখেন রোজা। আজ সালেহা বেগমের সেহেরির জন্য কিছুই নেই।সেহেরির সময়ও ঘনিয়ে এসেছে,এমন সময় এই বৃদ্ধার হাতে খাবার আর পানি তুলে দিলেন দুই যুবক।
শুধু সালেহা বেগম নয় এই রমজান মাস জুড়ে রাজধানী ঢাকার টিএসসি,কমলাপুর,হাইকোর্ট,মগবাজার,ধানমন্ডি এলাকায় থাকা ভিক্ষুক,রিকশা চালক,প্রতিবন্ধী,
শ্রমিক,পথশিশুদের হাতে আবেদ মনসুরের সহযোগিতায় সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পক্ষ থেকে ইফতার ও সেহেরি তুলে দিচ্ছেন এই যুবকরা।
অন্য অনেকের মতো টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে ঘুমাচ্ছেন পানি বিক্রেতা আবুল মিয়া। খাবার পেয়ে তিনি বলেন,' দিনের বেলা পানি বেইচ্যা চলি,রাতে ফুটপাতেই ঘুমাই,সেহেরিতে কেউ না কেউ খাবার দেয় তহন ওইডা খাইয়া রোজা থাহি।
রিকশা চালক ওয়ারেছ আলী বলেন,' জিনিসপত্রের ম্যালা দাম, দোকানে খাওনের বিল বাড়ছে। রোজার দিনে যারা গরীব মাইনষ্যের জন্য খাওন দিতাছে আল্লাহ তাগো বালা করুক। এইডা তো সওয়াবের কাম।
দুস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে সেহেরি বিতরণ করে খুশি স্বেচ্ছাসেবক জাফরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন,' প্রতিদিন ১৫০ জনের সেহেরি ও ১০০ জনের ইফতার আয়োজন করে থাকি। রাস্তার পাঁশে থাকা গরীব দুখি মানুষকে খাবার দিতে পেরে মনে শান্তি পাই, এই কাজ করতে ভালোই লাগে।
রমজান জুড়ে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে সেহেরি ও ইফতার বিতরণের পৃষ্ঠপোষক ভিনাইল গ্রুপের সিইও ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক উপ-কমিটির সাবেক সদস্য আবেদ মনসুর বলেন,' দুস্থ ও অসহায় মানুষদের দুঃখ কষ্ট সমাজের বিত্তবানদের উপলব্ধি করা উচিত। অন্তত এই রমজানে যাতে রাস্তায় থাকা মানুষ গুলো ভালো খাবার খেয়ে রোজা রাখতে পারে। সেজন্যই আমার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় মাসে জুড়ে সেহেরি ও ইফতার বিতরণ করেছি। অসহায় দুঃখী মানুষকে সাহায্য করার মাঝেই তো কল্যাণ নিহিত হয়।