আলোচিত সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার রায় আজ

পারিবারিক দ্বন্দ্বে তিন যুগ আগে সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলার রায় আজ ঘোষণা করা হবে।

বুধবার (১৩ মার্চ) ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ মোহাম্মদ আলী হোসাইন এ রায় ঘোষণা করবেন।

এর আগে, গত ২০ ফেব্রুয়ারি একই আদালতে মামলার রায় ঘোষণার কথা ছিল। কিন্তু ওইদিন বিচারক ছুটিতে থাকায় আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রায় ঘোষণার জন্য ১৩ মার্চ দিন ধার্য করেন।

১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় রমনা থানায় মামলা করেন সগিরা মোর্শেদের স্বামী সালাম চৌধুরী।

মামলার আসামিরা হলেন- সগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী ও তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহিন, শ্যালক আনাছ মাহমুদ রেজওয়ান, মারুফ রেজা ও মন্টু মণ্ডল ওরফে কুঞ্জ চন্দ্র মণ্ডল। আসামিদের মধ্যে আনাস মাহমুদ এবং মারুফ রেজা কারাগারে, অন্যরা জামিনে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সগিরা মোর্শেদ ভিকারুননিসা নূন স্কুল থেকে মেয়েকে আনতে যাচ্ছিলেন। বিকেলে সিদ্ধেশ্বরী রোডে পৌঁছালে মোটরসাইকেলে আসা ব্যক্তিরা তার হাতের সোনার চুড়ি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তখন তিনি দৌড় দিলে তাকে গুলি করা হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই সগিরা মোর্শেদ মারা যান।

২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। ছিনতাই নয়, মূল পরিকল্পনা ছিল সগিরাকে হত্যা।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, সগিরা মোর্শেদের পরিবারের সঙ্গে আসামি শাহীনের বিভেদ তৈরি হয়েছিল। এছাড়া শাশুড়ি সগিরাকে অপছন্দ করতেন এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সগিরা-শাহীনের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। এসব নিয়ে আসামিরা নিজেদের বাসায় বসে সগিরাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত সগিরা মোর্শেদের ভাসুরসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর মধ্যদিয়ে দীর্ঘ ৩১ বছর পর এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হয়। মামলাটিতে ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
শিবিরকে নারীবিদ্বেষী হিসেবে তুলে ধরা হয়, বাস্তবে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা: জাহিদুল ইসলাম Oct 13, 2025
img
রোনালদো এখনও রিয়ালের ‘নম্বর ওয়ান’: এমবাপ্পে Oct 13, 2025
img
বাংলাদেশে জলবিদ্যুৎ রপ্তানিতে ভারতীয় সড়ক ব্যবহার নিয়ে আশাবাদী ভুটান Oct 13, 2025
img
একাত্তরের অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নষ্ট করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল Oct 13, 2025
img
আমাদের সেফ এক্সিটের প্রশ্ন নেই, আমরা টাকা লুট করিনি: ধর্ম উপদেষ্টা Oct 13, 2025
img
সিনেমায় বাঙালিয়ানা কোথায়: রঞ্জিত মল্লিক Oct 13, 2025
img
সিআইবি- ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো কী? Oct 13, 2025
img
৭ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস Oct 13, 2025
img
কীর্তিনাশা নদীতে যাত্রীবাহী ট্রলারডুবি Oct 13, 2025
img
দুই-তিনটা পারফিউম একসাথে ব্যবহারের ফলাফল জানালেন ফারিণ Oct 13, 2025
img
বরিশালের হয়ে বিপিএল খেলবেন তামিম দাবি মিজানুর রহমানের Oct 13, 2025
img

২০২৫ সাল

এপ্রিল-জুনে এফডিআই প্রবাহে বড় ধাক্কা, কমেছে ৬১ শতাংশ Oct 13, 2025
img
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আজ রাতে লড়াইয়ে নামছে ৩ ফুটবল জায়ান্ট Oct 13, 2025
img
সিইসির সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিলেন জামায়াত নেতারা Oct 13, 2025
img
কাতার ও ইতালি সফরে গেলেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা Oct 13, 2025
img
চমেক হাসপাতালে এসির বিস্ফোরণ, আহত ৩ Oct 13, 2025
img
অরিজিৎকে নিয়ে নিজের ভুল মানলেন বলিউড সুপারস্টার সালমান Oct 13, 2025
img
পারফিউম কেবল সুগন্ধ নয়, বরং এটিতে ব্যক্তিত্ব প্রকাশ পায় : সাবিলা নূর Oct 13, 2025
img
শিক্ষা ভবনের সামনে ৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের অবস্থান, যান চলাচল বন্ধ Oct 13, 2025
img
পিআর ইস্যুটি আগামী সংসদের ওপর ছেড়ে দিতে হবে: মির্জা ফখরুল Oct 13, 2025